ময়মনসিংহ নগরীতে বসতঘরের নিজ কক্ষ থেকে সাদমান রাফি রনি (৪০) নামে এক চিকিৎসকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে নগরীর পুরোহিতপাড়ার প্রিয়প্রাঙ্গণ নামের বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। মৃতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন না পাওয়ায় রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জানা গেছে, নগরীর পুরোহিতপাড়ার সাইদুল ইসলামের ছেলে ডা. সাদমান রাফি রনি কুষ্টিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী ডা. নাহিদা সুলতানা নিপা সিলেটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। গতকাল বেলা ১১টার দিকে ডা. সাদমানের কক্ষে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর লাশ দেখতে পান বৃদ্ধা মা রেহেনা বেগম। বাড়িতে মা ও সাদমান ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। খবর পেয়ে পুলিশ ও সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করে। কিন্তু মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে পারেনি। শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও ডা. সাদমানের কক্ষের মেঝে রক্তে ভেজা ছিল। সুরতহাল শেষে পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের অ-কোষের কাছে একটি ছোট ছিদ্র পাওয়া গেছে। সেদিক দিয়েই রক্তক্ষরণে মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, মৃতের অ-কোষের কাছে ইনজেকশন নেওয়ার ছিদ্র পাওয়া যাওয়া গেছে।

নেশাজাতীয় ইনজেকশনও পাওয়া গেছে। এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।