বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

কামড় খেয়ে বিষাক্ত সাপ নিয়ে হাসপাতালে

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কামড়ের পর বিষাক্ত রাসেল ভাইপার সাপ মেরে ব্যাগে ভরে নিজেই হাসপাতালে ছুটে এলেন জাহিদুল ইসলাম রাজা (৫৫) নামে এক ব্যবসায়ী।

গড়াই নদীতে শখের বশে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন জাহিদুল। মাছ ধরার এক পর্যায়ে বালুচরে অস্থায়ী টংঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। হঠাৎ তার ডান পায়ে কিছু একটা কামড় বসায়। টর্চ জ্বেলে দেখতে পান ছোট্ট একটি কালো রঙের সাপ। লাঠি দিয়ে তিনি সাপটি মেরে ফেলেন। সাপটি মেরে একটি ব্যাগে ভরে সোজা ছুটে আসেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসক সাপটি বিষধর রাসেল ভাইপার বলে শনাক্ত করেন। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার জুগিয়া বটতলা এলাকায় গড়াই নদীর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে। রাত ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি হন জাহিদুল ইসলাম ওরফে রাজা নামে ওই লোহার ব্যবসায়ী। তিনি সদর উপজেলার জুগিয়া হাটপাড়া এলাকার সামছুল আলমের ছেলে। বর্তমানে তিনি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। গতকাল দুপুরে চিকিৎসাধীন জাহিদুল ইসলাম জানান, রাতে জাল নিয়ে মাছ ধরতে বাড়ির পাশেই গড়াই নদীতে যান। মাছ ধরার একপর্যায়ে টংঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। হঠাৎ তার ডান পায়ে কিছু একটা কামড় দেয়। টর্চ জ্বেলে দেখতে পান ছোট্ট একটি কালো রঙের সাপ। লাঠি দিয়ে তিনি সাপটি মেরে ফেলেন। নিজেই নিজের পা বেঁধে ফেলেন। এরপর চরের লোকজনকে ডেকে সাপটি ব্যাগে ভরে হাসপাতালে ছুটে আসেন। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, ‘রাসেল ভাইপার সাপটি খুবই ছোট। তবে সাপটির পেট বেশ ফোলা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ছোবল দেওয়ার আগে সাপটি কিছু খেয়েছিল। এজন্য হয়তো বিষ নাও থাকতে পারে। জাহিদুলকে ভ্যাকসিন (অ্যান্টি ভেনম) দেওয়া হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর