শুক্রবার, ২১ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

মিশ্র ফলের বাগানে সাফল্য

আবদুল লতিফ লিটু, ঠাকুরগাঁও

মিশ্র ফলের বাগানে সাফল্য

ঠাকুরগাঁওয়ে মিশ্র ফলের বাগান করে সাফলতা পেয়েছেন দুই ভাই। আর তাদের এই সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রতিদিন ছুটে আসছেন অনেকেই। শখের বশে করা বাগান এখন ব্যবসায় রূপান্তরিত হয়েছে। অনেকেই তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে এ ধরনের বাগান করার পরিকল্পনা করছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলার সালন্দর ইউনিয়নের বাসিন্দা রাজু মিয়া ও আমিনুল ইসলাম। শখের বসে পাঁচ বছর আগে বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ৭ শতক জমিতে গড়ে তোলেন মিশ্র ফলের বাগান। পরিবারের মানুষের জন্য পুষ্টিকর ও বিষমুক্ত ফল খাওয়ার আশায় বাগান করলেও এখন তা বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে। প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ করে এই বাগানে বিভিন্ন জাতের ৮০-৯০টি ফলের গাছ রোপণ করেন। এখন পর্যন্ত এই বাগান থেকে ৩ লাখ টাকার ফল বিক্রি করেছেন তারা। আম, লটকন, কামরাঙ্গা, ডালিম, আঙুর, জাম্বুরা, কমলাসহ প্রায় ৯০টি ফল গাছ রয়েছে তাদের এই বাগানে। এ ছাড়া ৫০টি সুপারি গাছও রয়েছে বাগান ঘিরে। এলাকায় সফল বাগানি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন তারা। বাগান মালিক আমিনুল ইসলাম ও রাজু মিয়া বলেন, পরিবারের মানুষের জন্য পুষ্টিকর ও বিষমুক্ত ফল খাওয়ার আশায় করা হয়েছিল এই ফলের বাগান। তবে একটি সময় শখের বসে করলেও এখন তা বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে। অল্প খরচে লাভবান হয়েছেন তারা। ফল নিতে এসেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ফারুক, ওমরসহ কয়েকজন। তারা জানান, বাসার পাশে পরিত্যক্ত জমি ব্যবহার করে এমন ফলবাগান করা যায় আগে যানা ছিল না। আমরা তাদের কাছে পরামর্শ নিয়েছি কীভাবে এমন বাগান করা যায়। সেই সঙ্গে এখান থেকে ফলও কিনে নিয়েছি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপপরিচালক আলমগীর কবির বলেন, উন্নত কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে পতিত জমি চাষের আওতায় আনা গেলে পারিবারিক চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে আমরা মনে করি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর