শনিবার, ২২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

জাতীয়করণের দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচি

----- মো. সেলিম ভূঁইয়া

জাতীয়করণের দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচি

শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া বলেছেন, সরকারি ও বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষক-কর্মচারীদের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা একই। তবে তাদের বেতন স্কেলে পার্থক্য রয়েছে, রয়েছে বৈষম্য। এই বৈষম্য পাহাড়সম। তাই অবিলম্বে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের উদ্যোগ নিতে হবে। জাতীয়করণের দাবি না মানলে সারা দেশে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

এই শিক্ষক নেতা বলেন, সরকারি স্কুল-কলেজের ছাত্রদের যে সিলেবাস, বেসরকারি স্কুল-কলেজের ছাত্রদেরও একই সিলেবাসে পড়ানো হয়। সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দেওয়া হয়। আর বেসরকারি শিক্ষকদের উৎসব ভাতা দেওয়া হয় মূল বেতনের ২৫ শতাংশ। বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা শিক্ষকদের সঙ্গে এটি বিমাতাসুলভ আচরণের বহির্প্রকাশ।

তিনি বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড হলে শিক্ষকরা শিক্ষার মেরুদন্ড। কিন্তু আজ শিক্ষক সমাজ অবহেলিত ও বিভিন্নভাবে হয়রানি-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ না হওয়ায় রাজনৈতিক দলের লোকেরা অর্থের বিনিময়ে বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদরাসায় অযোগ্য ব্যক্তিদের চাকরি দিচ্ছেন। এ অবস্থা থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করতে হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণ করতে হবে।

সেলিম ভূঁইয়া বলেন, দেশে অনেক শিক্ষক সংগঠন রয়েছে। সব শিক্ষক সংগঠন মিলে একসঙ্গে আন্দোলন করলে জাতীয়করণের আন্দোলন সহজেই সফল হতো। প্রেস ক্লাবের সামনে চলমান আন্দোলনকারী শিক্ষকদের ডেকে ধমক দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সবাই মিলে আন্দোলন করলে কেউ এমন সাহস করতেন না।

তিনি বলেন, আগামী ২৪ জুলাই সারা দেশের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেব আমরা। ৩০ জুলাই সারা দেশের জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। এরপর ৩১ তারিখে সংবাদ সম্মেলন করে কঠোর কর্মসূচি দেব।

সর্বশেষ খবর