শনিবার, ২২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

শিক্ষকরা টিকতে না পারলে পাঠদান করবেন কীভাবে

------- শেখ কাওছার আহমেদ

শিক্ষকরা টিকতে না পারলে পাঠদান করবেন কীভাবে

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমেদ বলেছেন, ২০০৪ সালে বেসরকারি শিক্ষকরা উৎসব ভাতা পেয়েছেন ২৫ শতাংশ। ২০২৩ সালে এসেও ২৫ শতাংশই পাচ্ছি। এ ছাড়া মাত্র ১০০০ টাকা বাড়ি ভাড়া ও ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পাচ্ছি। বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে এই টাকায় বাড়ি ভাড়াও হয় না, চিকিৎসার খরচও হচ্ছে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে শিক্ষকরা টিকে থাকতে না পারলে শ্রেণিকক্ষে কীভাবে পাঠদান করবেন। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

জাতীয়করণ দাবিতে আন্দোলনরত এই শিক্ষক নেতা বলেন, যদি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো শ্রেণিতে একজন শিক্ষার্থী মাসিক ২০ টাকা বেতনে পড়াশোনা করে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে একই শ্রেণিতে পড়াশোনা করতে প্রয়োজন হয় ৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা। সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন স্কেলও এক নয়। এই বৈষম্য চাই না। আমরা চাই বৈষম্যহীন শিক্ষাব্যবস্থা। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা আর অভিভাবকরা উপকৃত হোক। আবার শিক্ষকরাও যথাযথ মর্যাদা পাক। তিনি বলেন, শিক্ষার সফটওয়্যার হচ্ছেন শিক্ষক। শিক্ষক ঠিক না থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুন্দর অবকাঠামো আর ছাত্রছাত্রীদের হাতে বিনামূল্যে বই দিলেই হবে না। কাওছার আহমেদ বলেন, আমরা হঠাৎ করে আন্দোলনে নামিনি। দীর্ঘ সময় ধরে জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে আসছিলাম আমরা। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর আন্দোলনে নেমেছেন সারা দেশের শিক্ষক-কর্মচারীরা।

এ শিক্ষক নেতা দাবি করেন, কিছুদিন আগেও বিভিন্ন আন্দোলন করতে গেলে আমাদের বলা হয়েছে আওয়ামী সমর্থিত শিক্ষক সংগঠন। আর এখন জাতীয়করণের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে শুনতে হচ্ছে স্বাধীনতাবিরোধী শিক্ষক সংগঠন। শিক্ষকদের রুটি-রুজির জন্য আন্দোলন করছি আমরা। এটি পেটের দাবি, প্রাণের দাবি। একে যদি কেউ রাজনৈতিক রং দেওয়ার চেষ্টা করেন, তবে তারা ভুল করবেন। জাতীয়করণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ না পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষকদের আন্দোলন চলবে বলে জানান কাওছার আহমেদ।

সর্বশেষ খবর