রবিবার, ২৩ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

কৃষিপণ্যের রপ্তানি কমেছে ২৭ শতাংশ

২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়েছে ৮৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ১১৬ কোটি ২২ লাখ ডলার

রাশেদ হোসাইন

কৃষিপ্রধান দেশ হলেও হাতেগোনা কয়েক ধরনের কৃষিপণ্য রপ্তানিতেই আটকে আছে বাংলাদেশ। বৈচিত্র্য আনতে না পারায় এসব পণ্যের রপ্তানিতেও বড় ধাক্কা লেগেছে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষিপণ্যের রপ্তানি কমেছে ২৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এর মধ্যে শাকসবজি রপ্তানি কমেছে ৩৮ দশমিক ৮০ শতাংশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ রপ্তানির তথ্য বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে। ইপিবির তথ্য বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়েছে ৮৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ১১৬ কোটি ২২ লাখ ডলার। অর্থাৎ আগের অর্থবছরের তুলনায় কৃষিপণ্য রপ্তানি কমেছে ২৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। ২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩৯ কোটি ৪১ লাখ ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি কমেছে ৩৯ দশমিক ৫৩ শতাংশ। গত অর্থবছরে সবজি রপ্তানি কমেছে ৩৮ দশমিক ৮০ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সবজি রপ্তানি হয় ৬ কোটি ১১ লাখ ডলারের। ২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানি হয় ৯ কোটি ৯৯ লাখ ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সবজি রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ কোটি ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রপ্তানি কমেছে ৪৪ দশমিক ৪২ শতাংশ। ফলজাত পণ্যের রপ্তানি কমেছে ৮১ দশমিক ১০ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ফলজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ১ লাখ ডলারের। ২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানি হয় প্রায় ৫ লাখ ডলারের। ড্রাই ফুড রপ্তানি কমেছে ১৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ড্রাই ফুড রপ্তানি হয় ২০ কোটি ডলারের। ২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ২৪ কোটি ৯৯ লাখ ডলারের ড্রাই ফুড। তবে তামাক পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে ২০২২-২৩ অর্থবছরে। এ সময়ে তামাকপণ্য রপ্তানি হয় ১৬ কোটি ২৬ লাখ ডলারের। ২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ১০ কোটি ৭২ লাখ ডলার। সে হিসাবে রপ্তানি বেড়েছে ৫১ দশমিক ৭২ শতাংশ। মসলা জাতীয় পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে মসলা জাতীয় পণ্যের রপ্তানি হয়েছে ৪ কোটি ২৩ লাখ ডলারের। ২০২১-২২ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবল অ্যান্ড অ্যালায়েড প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফভিএপিইএ) সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বেশ কিছু কারণে কৃষিপণ্য রপ্তানি কমেছে। গত বছর কিছু দিন বিমানবন্দরের স্ক্যানার নষ্ট ছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে কৃষিপণ্য সেন্ট্রাল প্যাকিং হাউসে আসে। সেখানে সবজি ঠান্ডা করার যন্ত্র নেই। অনেক সময় মালিকরা নিজ খরচে পণ্য ঠান্ডা করেন। এ সময় কিছু পণ্য নষ্ট হয়। প্যাকিং হাউসটির সংস্কার করা প্রয়োজন। শাকসবজি রপ্তানিতে বাংলাদেশের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী এখন ভারত। আমাদের এখানে যেসব পণ্য পাওয়া যায়। একই পণ্য ভারতেও পাওয়া যায়। দেশটি থেকে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের যে কোনো গন্তব্যে আকাশপথে পণ্য পরিবহনে বাংলাদেশের চেয়ে খরচ কম। এ ছাড়া আমাদের কার্গো ফ্লাইটের বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে।

সর্বশেষ খবর