রবিবার, ২৩ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

পাখির কলরবে মুখর পীর নিকুঞ্জ

মাসুদ হাসান বাদল, শেরপুর

পাখির কলরবে মুখর পীর নিকুঞ্জ

শেরপুর সদর উপজেলার লছমপুরের নিভৃত পল্লীতে মুর্শিদপুর দরবার শরিফের খাজা মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা হায়দার ওরফে দোজা পীরের বাড়ি। সুউচ্চ সীমানাপ্রাচীরঘেরা ২৫০ একর জমি যেন নানা গাছের এক বিশাল নিবাস। এ নিকুঞ্জ দিনরাত পাখির কলরবে মুখরিত থাকে। পাখি, গাছ আর পীরের মুরিদে একাকার এখানকার পরিবেশ। পীরবাড়ির অঞ্চলজুড়ে স্নিগ্ধ গাছের ছায়া, পাখি আর মানুষের মিতালি যেন অন্য এক প্রকৃতিকে এনে দেয়। পাখির কলতান আর সৃষ্টিকর্তার বন্দনা চলে একসঙ্গে। বিশেষ করে সকাল ও সন্ধ্যা পাখির কলরবে মোহিত থাকে আশপাশের অঞ্চল। এ পীর নিকুঞ্জ এখন স্বীকৃত শেরপুরের বড় পাখির অভয়াশ্রম হিসেবে। এখানে দোয়েল, বাবুই, শালিক, সারস, চড়ুই, টিয়া, ঘুঘু, কোকিল, বুলবুলি, বউ কথা কও, প্যাঁচা সারা বছরই থাকে। চৈত্রে আসে বক আর শীতে পানকৌড়িসহ নাম না জানা বেশ কিছু অতিথি পাখিও।

ভাগ্য ভালো থাকলে দেখা মেলে ময়নার। অধিকাংশ পাখি আবার তৈরি কোনো খাবার খায় না। কোন পাখির কেমন প্রকৃতি, পীর সাহেব তা বলে দিতে পারেন অবলীলায়। ভক্তরা জানিয়েছেন, মানুষের মতো পাখির প্রতিও পীরের ভালোবাসা অটুট। খাজা মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা হায়দার দোজা পীর বলেন, ‘সকলই স্রষ্টার সৃষ্টি। সৃষ্টির প্রতি ভালোবাসা থাকলেই সৃষ্টিকর্তাকে সহজে পাওয়া যায়। পাখি তো জীব। এ জীবের প্রতি ভালোবাসা থেকেই এখানে পাখির নিরাপদ আশ্রয় গড়ে তোলা হয়েছে।’ শেরপুর বার্ড কনজারভেশন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক শহীদুজ্জামান বলেন, পীরের বাড়ির গাছ ও নীরব প্রকৃতি পাখিদের খুব প্রিয়। পাখির আবাসনযোগ্য বাসাগুলোও খুব সুন্দর।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর