সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাণিজ্য খরচ কমছে

------- ড. আতিউর রহমান

বাণিজ্য খরচ কমছে

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, ভারতের সঙ্গে রুপিতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য কার্যক্রমের ফলে বাণিজ্যিক খরচ কিছুটা হলেও কমছে। সরাসরি ভারত থেকে প্রাপ্ত রপ্তানি আদেশের বিপরীতে রপ্তানি আয় থেকে অর্জিত রুপি দিয়ে ওই পরিমাণ আমদানি করা যাবে। তার মানে আকু পদ্ধতিতে কিছুটা হলেও বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধ নিষ্পত্তির চাপ কমবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ভারতের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার দেশ। বাংলাদেশ থেকে তাদের আমদানি বৃদ্ধি করা হলে নতুন পদ্ধতিতে আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যাবে। তাই বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানি বাড়ানোই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সে জন্য গার্মেন্টস রপ্তানিকারকরা ছাড়াও ভিন্ন ধাঁচের রপ্তানিকারকদের আরও উৎসাহ দিয়ে রপ্তানি বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে। আশার কথা, গত অর্থবছরে ভারতসহ নতুন বাজারে পোশাক রপ্তানি প্রায় ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। এই গতি ধরে রাখতে হবে।

ড. আতিউর রহমান বলেন, দুই প্রতিবেশী দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক দিন দিনই গভীরতর হচ্ছে। নতুন বাজার হিসেবে আমাদের পোশাকসহ রপ্তানি বাণিজ্যের পরিমাণ দিন দিনই বাড়ছে। এই ধারাটা আরও বেগবান করার লক্ষ্যেই রুপি ও টাকায় সীমান্ত বাণিজ্য জোরদার করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আমাদের সীমান্ত হাটগুলোতেও এই টাকা-রুপি লেনদেন বাণিজ্য সক্রিয়ভাবে প্রচলন করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রুপিতে বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য ভারত বাংলাদেশকে (বিশেষ করে জ্বালানি আমদানি বাবদ) পাঁচ বছর মেয়াদি একটি নতুন ‘লাইন অব ক্রেডিট’ প্রদান করতে পারে। এতে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদে যে চাপ সৃষ্টি হয়েছে তা বেশ খানিকটা সামলে নেওয়া সম্ভব হবে। অন্যদিকে দুই দেশের বাণিজ্যের গতি ও সার্বিক বোঝাপড়া আরও বিকশিত হবে বলে প্রত্যাশা করা যায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর