সোমবার, ২৪ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা
বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদন

অ্যাপের ফাঁদ ঘটনা তদন্তে তিন সংস্থার প্রতি আদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

ডিজিটাল প্রতারণা থেকে মানুষকে রক্ষায় এক যুগান্তকারী আদেশ দিয়েছেন রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত। বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের সূত্র ধরে প্রতারক চক্রকে শনাক্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে গতকাল দুপুরে আদালতের শরণাপন্ন হন আইনজীবী জহুরুল ইসলাম। তার আবেদনটি আমলে নিয়ে বিচারক জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রের তিন তদন্তকারী সংস্থাকে যৌথভাবে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন।

রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ইশমত আরা বেগম জানান, আগে কোনো মামলায় একটি সংস্থাকে তদন্ত করতে দায়িত্ব দেওয়া হতো। কিন্তু অ্যাপ নিয়ে প্রতারণা করে মানুষকে নিঃস্ব করার ঘটনাটির যৌথ তদন্ত করতে তিন সংস্থাকে আদেশ দিয়েছেন বিচারক। বিচারক রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশ, সিআইডি ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) যৌথভাবে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন। আদেশে বলা হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ৩৯(২) ধারা অনুযায়ী অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে রাজপাড়া থানা, সিআইডি ও পিবিআই রাজশাহীর সাইবার বিষয়ে চৌকশ একজন করে সাব-ইন্সপেক্টর বা তার ওপরের কর্মকর্তার সমন্বয়ে যৌথ তদন্ত দল গঠনের আদেশ দেওয়া হলো। তিন সদস্যের এই যৌথ তদন্ত দল অপরাধ বিষয়ে ডিজিটাল সাক্ষ্য গ্রহণ, প্রতারক চক্রের অফিস ও অ্যাপস ভিত্তিক প্রতারণা কার্যক্রম বন্ধসহ তদন্ত কর্মকর্তা এর আইনগত সব দায়িত্ব পালন করবে এবং তদন্ত শেষে যৌথভাবে আদালতে পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করবে। প্রসঙ্গত, গত শনিবার বাংলাদেশ প্রতিদিনের তৃতীয় পাতায় ‘অ্যাপের ফাঁদে নিঃস্ব মানুষ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করে প্রতারক চক্রকে শনাক্ত ও কার্যক্রম বন্ধ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরেন অ্যাডভোকেট জহুরুল ইসলাম। তিনি জানান, অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণা আগেও হয়েছে। এখনো চলছে। কিন্তু মানুষ সচেতন হচ্ছে না, আবার প্রতারক চক্রটিও তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। নাগরিকদের সচেতন করতে তিনি মামলাটি করেছেন। আদালতের আদেশটি এ কার্যক্রমটি বন্ধে সহায়ক হবে বলে তিনি মনে করেন।

সর্বশেষ খবর