মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

জামদানিপ্রেমীর ভিড়ে অনন্য গ্যালারি

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

জামদানিপ্রেমীর ভিড়ে অনন্য গ্যালারি

বাঙালি নারীর শোভাবর্ধনের, গর্বের ঐতিহ্যবাহী জামদানি এবার স্থান পেয়েছে প্রদর্শনী গ্যালারিতে। বাহারি রং, বৈচিত্র্য আর মনকাড়া ডিজাইনের জামদানির সমারোহ এখন শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার ৭ নম্বর গ্যালারিতে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা জামদানিপ্রেমীদের সরব উপস্থিতিতে ভিন্ন এক রূপ পেয়েছে প্রদর্শনীর গ্যালারি।

‘হাই সোসাইটির অভিজাত ললনাদের কাছে শাড়ি সবসময় অবহেলিত’ এমন ধারণা মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে এখানে। সোসাইটি যাই হোক বাঙালি নারীর পছন্দের তালিকায় ও ভালোবাসায় জামদানি শাড়ি বিশেষ জায়গা দখল করে রেখেছে। এমন চিত্রই লক্ষ্য করা গেছে ১১ দিনের জামদানি প্রদর্শনীর ষষ্ঠদিন গতকাল। বসুন্ধরা, গুলশান, বনানী ও ধানমন্ডিসহ অভিজাত এলাকা থেকে আসেন বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী। উপচেপড়া ভিড়ে হিমশিম খাচ্ছিলেন প্রদর্শনীর গাইড ও কিউরেটররা। শাড়ির ডিজাইন, সুতাসহ শাড়ির নানা বৈশিষ্ট্য দর্শনার্থীদের সামনে তুলে ধরেন প্রদর্শনী সংশ্লিষ্টরা। ঘুরে ঘুরে দেখার পাশাপাশি শাড়ি নিয়ে সেলফি তোলার চেষ্টাও ছিল দর্শনার্থীদের। তবে অনেকেই পছন্দের শাড়িটি কিনে বাসায় ফিরেছেন।

রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে আসা পিংকি আকতার বলেন, জামদানি আমাদের গর্ব ও ঐতিহ্য। এমন ঐতিহ্য নিয়ে প্রদর্শনী খুবই ভালো লাগছে। এ ধরনের প্রদর্শনী আরও বেশি হওয়া উচিত। রাজধানীর গুলশান থেকে আসা সাফিয়া ইব্রাহিম বলেন, এখানে না এলে বুঝতেই পারতাম না জামদানি এত সুন্দর। আমি রীতিমতো জামদানির প্রেমে পড়ে গেছি। যতই ওয়েস্টার্ন ড্রেস পরি, দিন শেষে আমাদের শেকড় কিন্তু জামদানিই। আদি জামদানি নকশায় বোনা শাড়ি, নকশার নমুনা, প্রাকৃতিক রঙের উপকরণ, জামদানি কাপড়ে তৈরি বিভিন্ন পণ্য, বয়নশিল্পীদের জীবন ও অভিজ্ঞতা নিয়ে তৈরি নানা ইলাস্ট্রেশন স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীতে। গ্যালারিতে প্রদর্শনীর পাশাপাশি লবির উন্মুক্ত মঞ্চে চলছে নানা ধরনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এদিন ছিল যন্ত্রসংগীতের পরিবেশনা। পিয়ানো, সেক্সোফোন, ভায়োলিন আর দোতরায় সুরের ধারা বইয়ে দেন ক্লেফস মিউজিক ফাউন্ডেশনের শিল্পীরা। সেই সঙ্গে রক আর ওয়েস্টার্ন ধারার মেলোডিতে যন্ত্রশিল্পীরা আসর জমিয়ে তোলেন।

পিকেএসএফের সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্টের আওতায় সেবা নারী শিশুকল্যাণ সংস্থার আয়োজনে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয় ১৯ জুলাই। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকছে এ প্রদর্শনী। যা শেষ হবে ২৯ জুলাই।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর