মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

দুই বড় দলেই প্রার্থী অনেক নীরব প্রস্তুতি জামায়াতের

ইমরান এমি, চট্টগ্রাম

দুই বড় দলেই প্রার্থী অনেক নীরব প্রস্তুতি জামায়াতের

বাঁশখালী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে চট্টগ্রাম-১৬ আসন গঠিত। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের গণজোয়ারেও এ আসনে হেরে যায় দলটি। ২০১৪ বিএনপিহীন নির্বাচনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ। এ আসনে বর্তমান এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আসনটিতে দুই বড় দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে দলীয় প্রার্থীর ছড়াছড়ি। পাশাপাশি নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতও প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে। বর্তমান এমপি মোস্তাফিজুর রহমান আগামী নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী। এ ছাড়া আলোচনায় আছেন অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী মুজিবুর রহমান সিআইপি। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক। অন্যান্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন আবদুল্লাহ কবির লিটন, সাবেক এমপি সুলতান উল কবির চৌধুরীরের ছেলে উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী গালিব। আবদুল্লাহ কবির লিটন আওয়ামী লীগের প্রয়াত প্রেসিডিয়াম সদস্য আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর নিকটাত্মীয়। লিটন দলের কোনো পদ-পদবিতে না থাকলেও বাঁশখালী উপজেলায় তাঁর প্রভাব রয়েছে। এ আসনে বিএনপি-জামায়াত জোটের শক্ত অবস্থান রয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে জোটগত করলেও এবার জামায়াত জোটে না থাকায় শক্তি কমেছে বিএনপির। আবার বিএনপির ভিতরে রয়েছে তিনটি গ্রুপ। এ আসনে বিএনপির মনোনয়নে ২০০৮ সালে এমপি হয়েছিলেন জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। সম্প্রতি তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। ফলে আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে আসবে নতুন মুখ। বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যশীর তালিকায় রয়েছেন জেলা বিএনপি নেতা চেয়ারম্যান লেয়াকত আলী, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, ইফতেখার মহসিন চৌধুরী, সাবেক এমপি জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর ও মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা। আবার প্রার্থিতা নিয়ে জাফরুল ইসলামের দুই ছেলের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামীর সমর্থনে নির্র্বাচন করতে পারেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম চৌধুরী। গত নির্বাচনে বিএনপি জোটের সঙ্গে থাকলেও এবার আর বিএনপিকে ছাড় দিতে নারাজ দলটি। জামায়াত নির্বাচন করলে এ আসনে বিএনপির জয় পাওয়া কঠিন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে রয়েছেন চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিলেও তিনি পরাজিত হয়েছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর