মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

২৭ জুলাই সংঘাতের পাঁয়তারা করছে সরকার : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ডাকা ২৭ জুলাইয়ের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতার আশঙ্কা করছে বিএনপি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ২৭ জুলাই বিএনপির মহাসমাবেশের দিন রাজধানীতে যুবলীগের মাধ্যমে সংঘাত সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে সরকার। কোনো ধরনের সংঘাত বা সহিংস ঘটনা ঘটলে তার সব দায় সরকারকেই নিতে হবে। গতকাল দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে যৌথ সভা শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এতে সূচনা বক্তব্য রাখেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। সরকারি দলকে তাদের সমাবেশের তারিখ পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যুবলীগের কর্মসূচি ছিল ২৪ জুলাই। আমাদের কর্মসূচি ঘোষণা করার পর যুবলীগ তাদের কর্মসূচি ২৭ জুলাইয়ে নিয়ে গেছে। সংঘাতপূর্ণ অবস্থা সৃষ্টি করতে তারা এটা করেছে, তা পরিষ্কার। ঢাকায় মহাসমাবেশ করার জন্য স্থান বরাদ্দের অনুমোদন চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ঢাকায় মহাসমাবেশের বিষয়ে আমরা ডিএমপি কমিশনারকে জানিয়েছি। আশা করি মঙ্গলবারের (আজ) মধ্যে ভেন্যুর বিষয়টি জানাতে পারব এবং কর্তৃপক্ষ আমাদের সহযোগিতা করবে। মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা যে ভাষায় কথা বলেন তা কোনো ভাষা হতে পারে না। এগুলো সন্ত্রাসী ভাষা। তারা আমাদের হুমকি দিচ্ছেন। তারা এমন কথাও বলছেন, ছেঁকে ছেঁকে তোলা হবে। সরকারের বিশেষ বিশেষ ব্যক্তি উসকানিমূলক কথা বলছেন, একই সঙ্গে তারা উসকানিমূলক কাজও করছেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বলব- আমাদের আন্দোলন জনগণের আন্দোলন। এখানে আপনাদেরও সম্পৃক্ত হওয়া উচিত। কারণ আমরা মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত যতগুলো আন্দোলন করেছি, প্রতিটি আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু তার মধ্যেও তাদের হামলায় আমাদের দুজন লোক নিহত হয়েছেন। ৯ হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে, তারপরও আমরা শান্তিপূর্ণভাবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা আশা করব, ভয়াবহ সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি পরিহার করবে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং সরকার এটা নিশ্চিত করবে। ‘মহাসমাবেশ থেকে আপনারা কী বার্তা দিতে চান?’ এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, বার্তা একটাই- পদত্যাগ। এ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ সরকারের পদত্যাগ নিশ্চিত করা হবে। তিনি বলেন, যারা যুগপৎ আন্দোলনে নেই, তারাও পরিষ্কারভাবে বলছে, এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। এ দেশে এখন আর কোনো রাজনৈতিক দল অবশিষ্ট নেই, যারা মনে করে, এ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে। এ সময় বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আহ্বায়ক আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদ, শামা ওবায়েদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর