মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা
প্রশ্নফাঁস

বুয়েট শিক্ষকসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আদেশ

আদালত প্রতিবেদক

ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলায় বুয়েট শিক্ষক নিখিল রঞ্জন ধরসহ ১৬ জনের বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন গতকাল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ১৬ আগস্ট দিন ধার্য করেন। ফলে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। এর আগে অভিযোগ থেকে আসামি পক্ষে অব্যাহতির আবেদন করা হলে বিচারক তা নাকচ করে দেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি টেকনিশিয়ান মুক্তারুজ্জামান রয়েল, অফিস সহায়ক (পিয়ন) দেলোয়ার হোসেন, কর্মী রবিউল আউয়াল, জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখার কর্মকর্তা শামসুল হক শ্যামল, রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জানে আলম মিলন, পূবালী ব্যাংকের ইমামগঞ্জ শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল জাবের ওরফে জাহিদ, পারভেজ মিয়া, মিজানুর রহমান মিজান, মোবিন উদ্দিন, সোহেল রানা, পরীক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম স্বপন, রাশেদ আহমেদ বাবলু, জাহাঙ্গীর আলম জাহিদ ও রবিউল ইসলাম রবি। বুয়েট শিক্ষক নিখিল রঞ্জন ধরের আইনজীবী তুহিন হাওলাদার সাংবাদিকদের এ বিষয়ে বলেন, ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ এনে পাবলিক পরীক্ষা আইনে এ মামলা করা হয়েছে। আইনে বলা হয়েছে, পাবলিক পরীক্ষা অর্থ কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা বোর্ড কর্তৃক অনুষ্ঠিত, পরিচালিত, নিয়ন্ত্রিত বা সংঘটিত হয় বা হতে পারে এরূপ কোনো পরীক্ষা। এই সংজ্ঞা অনুযায়ী চাকরির পরীক্ষা পাবলিক পরীক্ষা নয়। তাই এ মামলা চলে না। তাছাড়া নিখিলের নাম এজাহার এফআইআরএ নেই, অভিযোগপত্রেও নেই। পরে সম্পূরক অভিযোগপত্রে নিখিলের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বিচারক শুনানি শেষে নিখিলের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় ২০২১ সালের ৬ নভেম্বর ঢাকায় বিভিন্ন কেন্দ্রে রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রফাঁসের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সম্পূরক অভিযোগপত্রে নাম আসার পর নিখিল রঞ্জনের বিরুদ্ধে গত ৫ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। বর্তমানে নিখিল জামিনে আছেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকে অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের পর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্তে নামে। পরে ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত বিশ্বাস বাদী হয়ে রাজধানীর বাড্ডা থানায় মামলা করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর