বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঝিনুকের আদলে ফুটে উঠেছে স্টেশন ভবন

কক্সবাজার প্রতিনিধি

ঝিনুকের আদলে ফুটে উঠেছে স্টেশন ভবন

কক্সবাজারে ‘ঝিনুকের আদলে’ নির্মাণাধীন দেশের আইকনিক রেলস্টেশনটির সৌন্দর্য প্রায় পুরোটাই ফুটে উঠেছে। ইতোমধ্যে ভবনের মূল কাঠামোসহ ৯০ শতাংশের বেশি কাজ শেষ হয়েছে। ছয় তলা স্টেশন ভবনে থাকছে তারকামানের হোটেল, শপিং মলসহ আধুনিক সুবিধা। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসের মধ্যেই সব কাজ শেষ করে ঢাকা-কক্সবাজার রুটের পুরো রেলপথ ট্রেন চলাচলের উপযোগী করতে চায় কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয়রা বলছেন, নির্মাণকাজ শতভাগ শেষ না হলেও বোঝা যায়, গতানুগতিক নির্মাণশৈলীর বাইরের কোনো স্থাপনা এটি। পর্যটননগরীতে বিশ্বমানের দৃষ্টিনন্দন এ রেলস্টেশনটি সহজেই নজর কাড়তে সক্ষম হবে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ২৯ একর জায়গার ওপর ২১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা ভবনটির বেশির ভাগ কাজ শেষ। নকশা অনুযায়ী চলছে শেষ মুহূর্তের বিন্যাস ও রূপসজ্জার কাজ। আর বাইরে অনেকটাই প্রস্তুত রেললাইন। নির্মাণকাজে নিয়োজিত জ্যেষ্ঠ প্রকৌশলী তাইজুল ইসলাম বলেন, ‘মূল রেলস্টেশন ভবনের পুব পাশে উড়ালসড়ক এবং তিনটি প্ল্যাটফরম তৈরির কাজও শেষ হতে চলেছে। ভবনের সামনের অংশে তৈরি হচ্ছে বিশাল আকৃতির দৃষ্টিনন্দন ঝিনুকের ফোয়ারা। ১৫ দিনের মধ্যে ফোয়ারার কাজ শেষ হবে। তখন এটির সৌন্দর্য আরও বহুগুণ বাড়বে। ট্রেন আসার পর যাত্রীরা এই ফোয়ারার পাশ দিয়ে স্টেশনে প্রবেশ করবেন। তারপর চলন্ত সিঁড়ির মাধ্যমে সেতু হয়ে উঠবেন ট্রেনে। স্বপ্নের এ দৃশ্যপট বাস্তবে হাতছানি দেওয়ায় আনন্দে উদ্বেলিত স্থানীয়রা। অনেকের কাছে নতুন ভ্রমণ-গন্তব্য হয়ে উঠছে এ রেলস্টেশন।’ তিনি বলেন, ‘স্টেশন ভবনে থাকছে তারকামানের হোটেল, রেস্তোরাঁ, মালামাল রাখার লকারসহ পর্যটনবান্ধব সুযোগ-সুবিধা। রাতের ট্রেন ধরে সকালে কক্সবাজারে এসে পর্যটকরা লাগেজ, মালামাল স্টেশনে রাখতে পারবেন। সারা দিন সমুদ্রসৈকত বা দর্শনীয় স্থান ঘুরে রাতের ট্রেনে আবার ফিরে যেতে পারবেন নিজ গন্তব্যে।’ প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, ‘ঢাকা থেকে সর্বনিম্ন ৭০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ দেড় হাজার টাকা খরচ করে আসা যাবে কক্সবাজার। বছরে এই স্টেশনে আসা-যাওয়া করবেন প্রায় ২ কোটি যাত্রী। মধ্যবিত্তরা যেন কম খরচে কক্সবাজার এসে সমুদ্র দর্শন করতে পারেন, সেই আয়োজনটা আমরা করছি। আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সব কাজ শেষ করে ট্রেন চলাচলের উপযোগী আমরা করতে পারব।’ ভবনটির ৯০ শতাংশ নির্মাণ হলেও পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৮৬ শতাংশ। তবে চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুর সংস্কারকাজ এখনো অসম্পূর্ণ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর