বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ২, বিএনপির ৪

দিনাজপুর প্রতিনিধি

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ২, বিএনপির ৪

দিনাজপুর-৩ (সদর) আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনী মাঠে তেমনভাবে এখনো দেখা যাচ্ছে না। তবে এ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় বর্তমান সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম প্রতিনিয়তই সভা-সমাবেশ করছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সড়কের পাশে, রাস্তার মোড়ে রয়েছে উন্নয়নের বিলবোর্ড ও পোস্টার।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন হুইপ ইকবালুর রহিম। সম্প্রতি তিনি সমাজের অবহেলিত হিজড়া সম্প্রদায়ের জন্য মানবপল্লী ও বৃদ্ধাশ্রম গড়ে তুলে ‘ওয়ার্ল্ড লিডারশিপ ফেডারেশন’ (ডাব্লিউএলএফ) পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এ ছাড়া এ আসনে আওয়মী লীগের মনোনয়ন চাইতে পারেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান চৌধুরী মাইকেল। জানতে চাইলে ইকবালুর রহিম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দিনাজপুর-৩ সদর আসনে গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতায় ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড সাধিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যার একজন কর্মী হিসেবে সেবার মানসিকতা, নীতি, আদর্শ নিয়ে দুর্নীতিমুক্ত থেকে দীর্ঘ ৪২ বছর ধরে রাজনীতি করছি। সাংগঠনিক ভাবেও আগের চেয়ে আমরা অনেক সুসংগঠিত ও শক্তিশালী। দলীয় মনোনয়ন পেলে জয়লাভের ব্যাপারে আমি দৃঢ় আশাবাদী। অন্যদিকে দিনাজপুর-৩ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে প্রার্থী হিসেবে চায় তৃণমূল। কিন্তু তার প্রার্থিতা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় দলের বেশ কয়েকজন মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন। এক্ষেত্রে বিএনপি মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন দুলাল, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও দিনাজপুর পৌর মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সাবেক সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মোকাররম হোসেন। বেগম খালেদা জিয়ার বড়বোন সাবেক মন্ত্রী বেগম খুরশিদ জাহান হক চকলেটের বড় ছেলে শাহরিয়ার আকতার হক ডনের নামও প্রার্থী হিসেবে শোনা যাচ্ছে। জামায়াতে ইসলামী নেতা জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাইনুল আলম সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন। জাতীয় পার্টি এককভাবে নির্বাচন করলে দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক আহমেদ শফি রুবেল এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশা করবেন।

জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন দুলাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে এক দফা আন্দোলনে অগ্রসর হচ্ছে। গত ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতো আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন এক হবে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক নির্বাচন ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না। নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হলে বিএনপি অংশ নেবে। তিনি বলেন, আমি মানুষের সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং থাকব। নির্বাচনমুখী দলের প্রস্তুতি যেরকম থাকে আমাদেরও সেরকম আছে। তিনবারের বিজয়ী মেয়র অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী দিনাজপুর পৌর মেয়র বিএনপি নেতা সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সারা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলসহ বিএনপি চায় একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ সংসদ নির্বাচন। যে নির্বাচনে সাধারণ জনগণ তার ভোট নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে নির্বিঘ্নে প্রয়োগ করতে পারবে। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি অংশ নেবে। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে এ আসনে বিএনপি বিজয়ী হয়েছিল। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইকবালুর রহিম বিজয়ী হন। তিনি এই বিজয় ধরে রাখেন ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও।

সর্বশেষ খবর