বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

সময় চেয়েছে আওয়ামী লীগ হিসাব দেয়নি বিএনপি

দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে সোমবার

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার ৩১ জুলাই। বেশ কয়েকটি ছোট দল হিসাব জমা দিলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সময় চেয়েছে এবং বিএনপি এখনো হিসাব দেয়নি। এদিকে ইসির নিবন্ধনের জন্য নির্বাচিত না হওয়া ১০ দলকে নিবন্ধন অযোগ্যতার কারণে ব্যাখ্যা করে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, কয়েকটি দল হিসাব জমা দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়েছে। তবে বিএনপি এখনো হিসাব জমা দেয়নি। সময় চেয়ে এখনো চিঠি দেয়নি, তবে আগামী সোমবার পর্যন্ত হিসাব দেওয়ার সময় রয়েছে। এর মধ্যে দলগুলো হয়তো যোগাযোগ করবে। ইসির একজন কর্মকর্তা বলেন, ইসির নিবন্ধনের জন্য প্রাথমিকভাবে ১২ দলের তালিকা তৈরি করা হয়। সেখান থেকে দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ১০ দলকে নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের কেন নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে না এবং তাদের বিভিন্ন সমস্যা-ঘাটতি উল্লেখ করে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, নিবন্ধিত দলকে প্রতি পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব নিবন্ধিত নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিরীক্ষা করিয়ে পরের বছরের ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিতে হয়। পরপর তিন বছর কমিশনে এ প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হলে নিবন্ধন বাতিলের এখতিয়ার রয়েছে ইসির।

২০০৯ সাল থেকে দলগুলো অডিট রিপোর্ট জমা দিলেও ইসি এবং রাজনৈতিক দল, কোনো পক্ষই খাতওয়ারি বিবরণ প্রকাশ করেনি। তবে প্রধান কয়েকটি দল আয়-ব্যয়ের অঙ্কটা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে আসছে। সবশেষ ২০২১ পঞ্জিকা বছরে আওয়ামী লীগের আয় হয়েছে ২১ কোটি ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ১৬৬ টাকা। এ দলের তহবিল থেকে ৬ কোটি ৩০ লাখ ১৯ হাজার ৮৫২ টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে।

বিএনপির আয় হয়েছে ৮৪ লাখ ১২ হাজার ৪৪৪ টাকা। আর ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৪৭ হাজার ১৭১ টাকা। জাতীয় পার্টি আয় দেখিয়েছে ২ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ১৫৪  টাকা, আর ব্যয় দেখিয়েছে ৮৪ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৪ টাকা। দলগুলো আয়-ব্যয়ের হিসাব দিলেও ২০০৯ থেকে ২০২০ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী তৎকালীন এ টি এম শামসুল হুদা, কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ ও কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন ইসি তা প্রকাশ করেনি। দলের সম্মতি ছাড়া এ হিসাব প্রকাশ করা যাবে না বলে যুক্তি দিয়েছিল বিগত নির্বাচন কমিশনগুলো।

২০০৮ সালে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন চালু হয়। ২০০৯ সাল থেকে প্রতিবছর দলগুলো অডিট রিপোর্ট দিয়ে আসলেও কয়েকটি দল প্রতিবেদন দিতে ব্যর্থ হয়। এ নিয়ে কমিশন সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করে। তবে কোনো দলের ক্ষেত্রেই টানা তিন বছর অডিট রিপোর্ট জমা না দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি। সে কারণে পর পর তিন বছর অডিট রিপোর্ট দিতে ব্যর্থ হলে নিবন্ধন বাতিলের বিধান প্রয়োগের প্রয়োজন পড়েনি ইসির।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর