বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা
দুদকের তথ্য

কেয়া কসমেটিকস পরিবারের ১৯০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের বিরুদ্ধে ১৯০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আবদুল খালেক পাঠান ও তার স্ত্রী এবং প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ফিরোজা বেগমসহ দুই মেয়ে ও এক ছেলের বিরুদ্ধে করা পাঁচটি মামলার চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে মামলাগুলোর চার্জশিটের অনুমোদন দেওয়া হলেও গতকাল সংস্থাটির জনসংযোগ শাখা থেকে এ তথ্য সংবাদিকদের কাছে সরবরাহ করা হয়।

দুদক সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর আবদুল খালেক তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম, মেয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খালেদা পারভীন, অপর মেয়ে তানসীন কেয়া ও ছেলে মাসুম পাঠানের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা করে দুদক। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৮৩ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ২৬৪ টাকার অবৈধ সম্পদ এবং ৯৬ কোটি ২৯ লাখ ৭২ হাজার ৭৩৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছিল। আবদুল খালেক ২০১৯ সালের ২৩ জুন দুদকে সম্পদ বিবরণী জমা দিলে যাচাই-বাছাই করে ৫২ কোটি ৭৫ লাখ ৪৫ হাজার ৫৪০ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপনের প্রমাণ পায় দুদক। অন্যদিকে বৈধ আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১০১ কোটি ৩৬ লাখ ৩৬ হাজার ৭০৪ টাকার সম্পদের সন্ধান পাওয়া যায়। আবদুল খালেক তার জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদসহ ৪৪৬ কোটি ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার ৯৩৭ টাকার সম্পদ প্রদর্শন করেন। মামলায় ফিরোজা বেগমের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৭ লাখ ৪৫ হাজার ৮৬১ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ২০১৯ সালের ২৩ জুন জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণী যাচাই-বাছাই করে দুদক তার বিরুদ্ধে ১৭ কোটি ১১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৮৪ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনে। একইভাবে আবদুল খালেকের ছেলে মাসুম পাঠানের বিরুদ্ধে ৯০ লাখ ৪৯ হাজার ৭৪০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। মাসুম পাঠানও ২০১৯ সালের ২৩ জুন দুদকে সম্পদবিবরণী দাখিল করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৭২ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯৩ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের প্রমাণ পায় দুদক। আবদুল খালেকের মেয়ে খালেদা পারভীনের বিরুদ্ধে ৫৫ লাখ ২৪ হাজার ৪৮৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এ ছাড়া ১ কোটি ৯৬ লাখ ৩২ হাজার ৩৬১ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়। একইভাবে তার অপর মেয়ে তানসীন কেয়ার নামে ৬ কোটি ৮০ লাখ ৩৬ হাজার ২০৩ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়েছে। তানসীনের ঘোষিত সম্পদবিবরণীতে ২ কোটি ৯০ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।

জানা গেছে, ২০১৭ সালে ২০ আগস্ট বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থেকে ১১১ কোটি ১৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আবদুল খালেক ও ছেলে-মেয়েসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা এবং পরবর্তীতে চার্জশিট দিয়েছিল দুদক। ওই মামলায় খালেককে গ্রেফতার করা হলেও পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর