বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠির ছত্রকান্দায় বাস পুকুরে পড়ে ১৭ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ওই বাসের মিটার ছিল নষ্ট। এ জন্য চালক বাসের গতি বুঝতে পারেননি। তাছাড়া বাসে ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী ছিল। এসব কারণে বাসটি ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পড়ে।

বাসচালক মোহন খানকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব। গতকাল ভোরে তাকে ঢাকার আশুলিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, অনেক ক্ষেত্রে মালিকদের বিরুদ্ধেও মামলা হয়। এ ঘটনায় চালকের পাশাপাশি মালিকের কোনো গাফিলতি থাকলে তাকেও আসামি করা হবে। তবে প্রাথমিকভাবে করা মামলায় চালকের সহযোগী, সুপারভাইজার ও চালককে আসামি করা হয়েছে। চালক মোহন দুর্ঘটনার পর কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। এরপর ঝালকাঠি, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার ও আশুলিয়া এলাকায় তার বিভিন্ন আত্মীয়র বাড়িতে আত্মগোপনে থাকেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চালক মোহন গত ২২ জুলাই সকাল ৯টায় বাশার-স্মৃতি পরিবহনের বাস নিয়ে ভান্ডারিয়া থেকে বরিশাল রওনা হন। পথে বিভিন্ন স্টপেজে ৫৫ জন যাত্রী তুলে বাস বোঝাই করেন। এরপর বেপরোয়া গতিতে গাড়িটি চালাতে থাকেন। ৯টা ৫০ মিনিটে ঝালকাঠির ছত্রকান্দায় পৌঁছালে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশের পুকুরে পড়ে যায়।

এ সময় বাসটি পানিতে ডুবে যায়। যাত্রীরা যে যার মতো পানি থেকে উঠে আসেন। কিন্তু বাসের ভিতরে আটকা পড়েন অনেকে। সেখান থেকে উঠে মোহন দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। এর আগে সোমবার বিকালে ঝালকাঠির রাজাপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় বাসটির সুপারভাইজার মো. ফয়সাল মিজানকে। দুর্ঘটনার পর রবিবার রাতে ঝালকাঠি সদর থানার এসআই সুশংকর বাদী হয়ে বাস দুর্ঘটনার ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।