শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা
৯ আসামির বেআইনি জামিন

নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে পার পেলেন জেলা জজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আইনশৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগে করা এক মামলায় বেআইনিভাবে ৯ আসামিকে জামিন দেওয়ার বিষয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল। তবে আসামিদের দেওয়া যে জামিন আদেশ ঘিরে দায়রা জজকে ব্যাখ্যা দিতে ডাকা হয়েছিল, সেই আদেশ প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাই কোর্ট। ওই মামলায় আসামিদের জামিন মঞ্জুর করে দায়রা জজের দেওয়া আদেশ কেন বাতিল হবে না, রুলে           তা জানতে চেয়েছেন হাই কোর্ট। বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল এ আদেশ দেন। আদেশের আগে কক্সবাজারের জেলা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের উদ্দেশে হাই কোর্ট বলেন, বিচারে কেন তাড়াহুড়া করবেন? বিচার তাড়াহুড়া করার বিষয় নয়। যা হয়ে গেল, তা কারও জন্যই কাম্য নয়। গতকালও হাই কোর্টে হাজির হন বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল। তার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ। আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন। সঙ্গে ছিলেন মো. আবুল কাশেম ও আরিফ চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। ওই মামলায় গত ২১ মে কক্সবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৯ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই দিন কক্সবাজারের দায়রা জজ ৯ আসামির জামিন মঞ্জুর করেন। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এ আদেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আবেদন (ফৌজদারি রিভিশন) করেন মামলার বাদী ও রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান খোদেস্তা বেগম রিনা। আবেদনের শুনানি নিয়ে ২১ জুন হাই কোর্টের একই বেঞ্চ ব্যাখ্যা জানাতে কক্সবাজারের জেলা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন। ওই মামলায় আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠাতে কক্সবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের দেওয়া আদেশ বাস্তবায়ন না হওয়া সত্ত্বেও একই দিন দায়রা জজের আসামিদের জামিন মঞ্জুর করা নিয়ে শুনানিতে প্রশ্ন ওঠে। অন্যদিকে আদালতে হাজির হয়ে নিঃর্শত ক্ষমাপ্রার্থনা করেন কক্সবাজারের দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল। ২০ জুলাই শুনানি নিয়ে আদালত গতকাল আদেশের জন্য দিন রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় এ আদেশ হয়। আদেশের পর আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনার পর কক্সবাজারের দায়রা জজকে অব্যাহতি দেন হাই কোর্ট। একই সঙ্গে ওই মামলায় দায়রা জজের দেওয়া জামিন আদেশ কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন। প্রতিপক্ষকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর