শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা
গণমাধ্যম ও পুলিশের প্রতিবেদন

প্রতারণার শিকার কানাডিয়ানরা

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

কানাডীয় গণমাধ্যম এবং পুলিশের দাবি, অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় কানাডিয়ানরা মোটরগাড়ি চুরি, ডাকাতি-ছিনতাইসহ নানা প্রতারণার শিকার হন সবচেয়ে বেশি। ২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পুলিশের নথি থেকে এমন উদ্বেগজনক তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

গত মঙ্গলবার কানাডীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গত ১২ মাসে ২৫ লক্ষাধিক কানাডিয়ান পুলিশে রিপোর্ট করেছেন যে, তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এ রকম ঘটনায় ২০১৯ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে কানাডিয়ানরা ১৬ বিলিয়ন ডলারের অধিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন। প্রতারিত হওয়াদের মধ্যে ২২ হাজার কানাডিয়ানের ওপর পরিচালিত জরিপে আরও উদঘাটিত হয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহারের ভিকটিম হয়েছেন তারা। সুকৌশলে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয় এবং সেই ফাঁদে সরল বিশ্বাসে তারা পা বাড়িয়েছিলেন। কানাডার উইলফ্রিড লোরিয়াল ইউনিভার্সিটির ইন্সট্রাক্টর এবং এন্টি-ফ্রড ইন্টেলিজেন্স কনসাল্টিংয়ের প্রিন্সিপাল ভ্যানিসা লাফোল্লা এ প্রসঙ্গে বলেন, প্রযুক্তি আমাদেরকে এতটাই কাছাকাছি এনেছে, যার সুযোগ নিচ্ছে সংঘবদ্ধ প্রতারকরা। এটি অনস্বীকার্য যে, আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন অন্যের গোপন তথ্য খুব সহজে পর্যবেক্ষণ করা যাচ্ছে। সুন্দর কথায় কিংবা সুন্দর চেহারায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপরিচিত কাউকে আপন করে নেওয়ার পরই ঘটছে যত অঘটন এবং ক্রমান্বয়ে ভিকটিমের সংখ্যাও বেড়ে চলছে কানাডাসহ সারা বিশ্বেই।

পুলিশের তথ্যে বলা হয়েছে, প্রতারণার শিকার হয়ে প্রতি ভিকটিম গড়ে কমপক্ষে ১ হাজার ডলার করে খুইয়েছেন। সর্বোচ্চ গড় হচ্ছে ৫১২০ ডলার করে। ভিকটিমের ০.৫% এর লোকসান হয়েছে লাখ ডলারের বেশি এবং ৩% এর ১০ হাজার থেকে লাখ ডলারের মধ্যে।

সর্বশেষ খবর