শুক্রবার, ২৮ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভ্যাট আদায়ে প্রবৃদ্ধি দাবি এনবিআরের

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থনীতিতে নানামুখী চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও গত অর্থবছরের জুনে ভ্যাট আদায় হয়েছে ১৮%। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে চূড়ান্ত হিসাবে এনবিআরের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭%। আগের অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ছিল ১১.১৯%। এনবিআরের হিসাবে ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৭ হাজার ৪ কোটি টাকার ভ্যাট বেশি আদায় হয়েছে। গত অর্থবছরে মোট ভ্যাট আহরণ হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৪২৪ কোটি টাকা। আগের বছর আহরণ ছিল ১ লাখ ৮ হাজার ৪২০ কোটি টাকা। চলতি বছরের জুনে আহরণ হয়েছে ১৫ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা। আগের বছরের জুনে আদায় হয়েছিল ১৫ হাজার ৫৯ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭.৭০%। জানা গেছে, এনবিআরের ভ্যাট উইংয়ের মাঠ পর্যায়ে ১২টি ভ্যাট কমিশনারেট রয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম, খুলনা ও ঢাকা দক্ষিণ সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। অর্থবছরে তাদের অর্জন যথাক্রমে ৩৮.৭১%, ২৪.৭১% এবং ১৯.৮৯%। সর্বোচ্চ ভ্যাট আহরণ করেছে এলটিইউ ভ্যাট কমিশনারেট। এই কমিশনারেটের মোট আহরণ ৫৮ হাজার ৫৬৬ কোটি টাকা; যা আগের বছরের তুলনায় ৬ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা বেশি। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১.৭০%; যা আগের বছরে ছিল ৬.৪৬%। গত অর্থবছরে অনেকটা বিরূপ পরিস্থিতি ছিল। সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতিমালার কারণে বেশকিছু প্রকল্প থেকে ভ্যাট পাওয়া যায়নি। ব্যবসায়ীরা জানান, অনেক প্রতিষ্ঠান নিয়মিত এলসি খুলে পণ্যের কাঁচামাল আমদানি করে স্বাভাবিক উৎপাদন করতে পারেনি। এ ছাড়া অনেক ক্ষেত্রে ইউটিলিটি মূল্য বৃদ্ধি এবং সরবরাহ পরিস্থিতিতে পণ্যের স্বাভাবিক উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে বলে এনবিআর জানতে পেরেছে। গত অর্থবছরে ভোজ্য তেলসহ কয়েকটি পণ্যে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়। ফলে অব্যাহতিপ্রাপ্ত পণ্য থেকেও ভ্যাট পাওয়া যায়নি। এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও এনবিআরের ভ্যাটের ১৭% প্রবৃদ্ধি একটি বড় অর্জন হিসেবে মনে করা হয়।

তথ্যমতে, সবচেয়ে বেশি ভ্যাট আহরণ হয়েছে সিগারেট থেকে। এ আইটেম থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে আদায় হয়েছে ৩২ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা; যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা বেশি। মোবাইল ফোন অপারেটর্স থেকে ভ্যাট আদায় হয়েছে ৯ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা। এ ছাড়া এমএস রড ৫৮.৪৬%, কোমল পানীয় ৩১.১৯%, সিমেন্ট ৩৩.৭২%, বাণিজ্যিক স্থান ভাড়া ২০.১১%, পেট্রোবাংলার গ্যাস ও বিপিসির পেট্রোলিয়াম পণ্যেও প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ২১.৬৮% ও ২৩.৪৩%। প্রচেষ্টানির্ভর খাতে ভ্যাট উইং ভালো করেছে। এসব খাতে ভ্যাট আহরণ এনবিআর থেকে সরাসরি তদারকি করা হয়। মিষ্টিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৮%, আবাসিক হোটেলে ৩৯%। রেস্টুরেন্টে ভ্যাটহার ১৫% থেকে ৫%-এ কমিয়ে আনা হয়। তা সত্ত্বেও এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬.৭৮%। ভ্যাট অনুবিভাগের জন্য অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল ১ লাখ ৩৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এ লক্ষ্যমাত্রার ৯২% অর্জন করেছে ভ্যাট অনুবিভাগ।

সর্বশেষ খবর