শনিবার, ২৯ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা
অধ্যাপক তাহের হত্যা

মহিউদ্দিনকে দাফন ফরিদপুরে

লাশ নিতে যাননি স্ত্রী-সন্তানরা

ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলার আসামি একই বিভাগের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মহিউদ্দিনকে গতকাল ফরিদপুরে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১ মিনিটে রাজশাহী জেলখানায় দুই আসামি ড. মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়। স্বজনরা জানান, মিয়া মহিউদ্দিনকে গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের জান্দী গ্রামে  পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এর আগে বাড়িসংলগ্ন মাঠে তার জানাজা হয়। মহিউদ্দিনের ছোট ভাই আরজু মিয়া গণমাধ্যমের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সাংবাদিকরা লিখতে লিখতেই আমার ভাইকে ফাঁসির দড়ি পর্যন্ত নিয়েছে। গতকাল সকাল ৬টার দিকে মহিউদ্দিনের লাশ গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছায়। লাশ আনতে বৃহস্পতিবার রাজশাহী যান তার ছোট ভাই আরজু মিয়া। তবে লাশের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে আসেননি মহিউদ্দিনের স্ত্রী ও সন্তানরা। মহিউদ্দিন এক মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন। তারা রাজশাহীতে থাকেন। তারা কারাগার থেকে লাশ গ্রহণ করতেও যাননি। এমনকি ২৫ জুলাই স্বজনদের সঙ্গে শেষ সাক্ষাতের দিনেও তারা যাননি। আরজু মিয়া জানান, মহিউদ্দিনের স্ত্রী ও সন্তানরা খুবই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, তাদের আসার মতো অবস্থা নেই। মেয়েটা বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে। বৃদ্ধ মা সেতারা বেগম (৮২) জানেন না, তার ছেলের ফাঁসি হয়েছে। মহিউদ্দিনের মৃত্যুর খবর লাশ বাড়িতে আনার পর তাকে জানানো হয়। লাশ দেখানো হয়। তারপর থেকে তিনি নির্বাক হয়ে পড়ে আছেন। জাহাঙ্গীরকে রাজশাহীর খোঁজাপুরে দাফন : রাবি অধ্যাপক ড. তাহের হত্যা মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টায় রাজশাহী কারাগার থেকে মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। স্বজনরা জানান, জাহাঙ্গীরকে নগরীর মতিহার থানার খোঁজাপুর গোরস্থানে গতকাল সকাল ৬টায় দাফন করা হয়।

সর্বশেষ খবর