সোমবার, ৩১ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা
মণিপুরে সহিংসতা

পরিদর্শনে গিয়ে মোদির বিরুদ্ধে তোপ বিরোধীদের

কলকাতা প্রতিনিধি

ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য মণিপুরের সহিংসতা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখলেন বিরোধীদলের জোট ‘ইন্ডিয়া’র ২১ জন সংসদ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল।

১৬টি রাজনৈতিক দলের ২১ জন সংসদ সদস্যের ওই দলে আছেন কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী, গৌরব গগৈ, ফুলো দেবী নেতাম, কে সুরেশ;  তৃণমূল কংগ্রেসের সুস্মিতা দেব; আম আদমি পার্টির সুশীল গুপ্তা; শিবসেনা (ইউবিটি)’র অরবিন্দ সাবন্ত; ডিএমকে-এর কানিমোঝি করুনানিধি; জনতা দল ইউনাইটেডের রাজিব রঞ্জন সিং ও অনিল প্রসাদ হেগড়ে; সিপিআই-এর সন্দোশ কুমার; সিপিআইএমের এ.এ রহিম; আরজেডি-এর মনোজ কুমার ঝা; সমাজবাদী পার্টির জাবেদ আলী খান; ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার মহুয়া মাঝি; এনসিপির পি.পি.পি মোহাম্মদ ফাইজল; আরএলডির জয়ন্ত সিং; ভিসিকের থিরু থোল থিরুমাভালাবান ও ডি রবিকুমার; আরএসপির এন.কে প্রেমাচান্দ্রন; আইইউএমএল-এর ইটি মোহাম্মদ বাসির প্রমুখ।

দুই দিনের সফরে গত শনিবার সকালে দিল্লি থেকে বিমানে করে মণিপুরের রাজধানী ইম্ফলে পৌঁছান ওই প্রতিনিধির দলের সদস্যরা। গতকালও তারা মণিপুরের সহিংসতা কবলিত এলাকার ঘুরে দেখেন, বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে গিয়ে কুকি ও মেইতি সম্প্রদায়ের মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা নির্যাতিত নারী ও দুর্গতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন। মূলত দুটি দলে ভাগ হয়ে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। একটি দলের নেতৃত্ব দেন কংগ্রেস সংসদ সদস্য অধীর রঞ্জন চৌধুরী, অন্য দলটির নেতৃত্ব দেন কংগ্রেস সংসদ সদস্য গৌরব গগৈ। এর পর মণিপুরের রাজ্যপাল অনুসুইয়া উইকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। রাজভবনে গিয়ে মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালের হাতে একটি স্মারকলিপিও তুলে দেন। তাতে রাজ্যে শান্তি, সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনতে ও দুর্গতদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলা হয়, মণিপুরের ঘটনায় তার নীরবতাই বলে দিচ্ছে যে উত্তর-পূর্ব রাজ্যের চলমান পরিস্থিতির প্রতি তিনি কতটা উদাসীন। স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়েছে, ‘দুই সম্প্রদায়ের মানুষের প্রাণ ও সম্পত্তি রক্ষায় কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার কারণেই ১৪০ জনেরও বেশি মৃত্যু হয়েছে। ৫০০-এরও বেশি আহত, ৫,০০০-এরও বেশি বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ঘটানো, ঘর ছাড়া প্রায় ৬০ হাজার মানুষ।’ মণিপুর সফর শেষে দিল্লি ফিরে এসে সংসদেও এই বিষয়গুলো উত্থাপন করতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

সর্বশেষ খবর