মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে দিতে পারে

ড. মো. মুহিববুল্লাহ

জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে দিতে পারে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মুহিববুল্লাহ বলেছেন, প্লাস্টিক বর্জ্য এখন সারা পৃথিবীর মাথা ব্যথার কারণ। এবারের বিশ্ব পরিবেশ দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘প্লাস্টিক বর্জন করি’। কারণ পলিথিন বা যে সব সিনথেটিক পণ্য অপচনশীল অবস্থায় থাকে, এগুলো আমাদের বায়ু, পানি ও মাটি দূষণ ঘটাচ্ছে ভয়াবহভাবে। মাটিতে বসবাসকারী অণুজীবগুলোর কার্যকারিতা নষ্ট করে দিচ্ছে। স্যুয়ারেজ ব্যবস্থাপনা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। খাল, নদী-নালার স্থায়ী ক্ষতি করছে। এতদিন প্লাস্টিক দূষণটা আমাদের নদী, লেক, জমিতে ছিল। ইদানীং গবেষণায় দেখা গেছে, প্লাস্টিক দূষণের কারণে সমুদ্রের মাছ ও অন্যান্য প্রাণী মারা যাচ্ছে। মরা মাছের পেটে প্লাস্টিক মিলছে। এভাবে চলতে থাকলে পুরো জীববৈচিত্র্য ধ্বংস করে দিতে পারে এই প্লাস্টিক বর্জ্য। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বাংলাদেশে ময়লার ভাগাড়গুলো ভরে গেছে প্লাস্টিক বর্জ্য। এর থেকে টোকাইরা শক্ত প্লাস্টিক সংগ্রহ করলেও পলিথিন থেকে যাচ্ছে। অনেক সময় পলিথিন পোড়ানো হচ্ছে। এতে ভয়াবহ দূষিত হচ্ছে বাতাস। বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে অন্যতম দূষিত বাতাসের দেশ। অনিয়ন্ত্রিতভাবে প্লাস্টিক ব্যবহারের কারণে এরই মধ্যে অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। আগামীতে এটা আমাদের মাথা ব্যথার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াবে। চবির এই অধ্যাপক বলেন, প্লাস্টিক শতভাগ বন্ধ করতে পারব না, কিন্তু যতটা সম্ভব এর ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে। ব্যবহারের পর এগুলো পৃথক রাখতে হবে। এরপর পুনঃব্যবহার করতে হবে। একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হবে। গণহারে পলিথিন নিষিদ্ধ না করে কিছু পচনশীল পলিমার ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া যেতে পারে। মাটি, পানি, বায়ু- সর্বোপরি পরিবেশ রক্ষা করতে না পারলে আমাদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।

সর্বশেষ খবর