আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা। তাই ভিসানীতি তাদের ওপর প্রয়োগ হওয়া উচিত। গতকাল সকালে সচিবালয়ে নিজ দফতরের কনফারেন্স রুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সমাবেশের পরদিন বিএনপি ঢাকার প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচি দিল। এটা কোন কর্মসূচি? সড়ক অবরোধ করতে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-উত্তরবঙ্গ, ঢাকা-ময়মনসিংহে অবস্থান নেয় তারা। এটা কোনো গণতন্ত্র? এটা কেন? নির্বাচন সামনে রেখে যারা এ কর্মসূচি দেয় ভিসা নীতি তাদের ওপর বর্তায়। এটা স্পষ্ট নির্বাচনে বাধা। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি হোঁচট খেয়ে গোলাপবাগ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গেল। কোথায় গেল সে সাহস? পুলিশের অনুমতি নাকি নেবে না তারা। অনুমতি নিয়েই তো গেল। রাজনীতি এত সোজা! তাদের উদ্দেশ্য একটা লাশ ফেলবে। তারেক জিয়া লন্ডন থেকে ভিডিওতে বলছেন, একটা লাশের বদলে ১০টা লাশ ফেলবে। পুলিশের ওপর হামলা। জনগণের জানমাল রক্ষা, চলাচল নিশ্চিত করা পুলিশের দায়িত্ব। বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ডিবি কার্যালয়ে খাওয়ার ছবি ভাইরাল প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, গোয়েন্দাদের কাজই তো এটা। এটা তো বিপ্লব বড়ুয়া বা এ আরাফাতদের (মতবিনিময়ের সময় মন্ত্রীর পাশে বসে ছিলেন) দিয়ে হয়নি। যা সত্য, সেটা আসছে। উনি তো রুই মাছ দিয়ে খেলেন। উনি কেন খাইলেন? এত ক্ষুধা! তিন দিন খাইনি আমরা, এমনও তো হয়েছে। তিনি বলেন, এত ক্ষুধা, রাজনৈতিক ক্ষুধা। কিসের রাজনীতি করেন, তিন দিনও খাইনি আমরা। তিনি কেন খেলেন সেটা জিজ্ঞাসা করেন। ক্ষুধা লেগেছে তিনি খেয়েছেন, এটা সৌজন্য। একজন রাজনৈতিক কর্মী ফল পাঠিয়েছেন, এটা পাঠাতেই পারেন। তিনি অসুস্থ হয়েছেন ফল পাঠাতেই পারেন, রাজনীতিতে সৌজন্যতা আছে। সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে ও পরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চায় আওয়ামী লীগ। কিন্তু বিএনপি চায় যে কোনো মূল্যে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে হটাতে। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সতর্ক থাকবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, যারা নির্বাচন চায়, তারা সংঘাত চায় না। বিদেশি কোনো দূতাবাস এ পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ কিংবা সংসদ বিলুপ্তির কথা বলেনি বলে জানিয়েছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সংবিধান সংশোধন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান স্বয়ংসম্পূর্ণ। এখানে নতুন কিছু করার প্রয়োজন নেই। মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও ঢাকা ১৭ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত।