মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

হলে সিটের দাবিতে ছাত্রীদের বিক্ষোভ

জাবি প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) হলে আসন বরাদ্দের দাবিতে রবিবার মধ্য রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আবারও বিক্ষোভ করেছেন শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়া হলের ছাত্রীরা।

পরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে দুই ঘণ্টা অবস্থান শেষে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন), প্রক্টর ও হল প্রশাসনের আশ্বাসে হলে ফিরে যান তারা। এ সময় প্রশাসন দ্রুততম সময়ের মধ্যে ছাত্রীদের আসন নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেড, চেয়ার ও টেবিল নেই। থাকছেন মেঝেতে তোশক বিছিয়ে। রশি টানিয়ে রাখছেন জামা-কাপড়। প্রতিটি বিছানার মধ্যের ফাঁকা স্থানে রাখছেন বই-পুস্তক ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। ফলে চলাফেরা, ঘুম, খাওয়া-দাওয়া ও পড়াশোনা সবই করতে হয় মেঝেতে। এভাবে হলের গণরুমে তিন শতাধিক ছাত্রীকে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে। এমনই চিত্র দেখা গেছে জাবি ছাত্রীদের শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়া হলের গণরুমে। এ ছাড়া শেখ হাসিনা হলের টিভি রুমে দ্বিতীয় বর্ষের (৫০তম ব্যাচ) ৯৫ জন ও ডাইনিং রুমে প্রথম বর্ষের (৫১তম ব্যাচ) শতাধিক ছাত্রী থাকেন। অন্যদিকে বেগম খালেদা জিয়া হলের টিভি রুমে প্রথম বর্ষের (৫১তম ব্যাচ) ৯০ থেকে ৯৫ ছাত্রী থাকেন। আর অন্য একটি গণরুমে দ্বিতীয় বর্ষের (৫০তম ব্যাচ) প্রায় অর্ধশত ছাত্রী অবস্থান করছেন। এ ছাড়া হলের কমন রুম, রিডিং রুম, নামাজের কক্ষে গাদাগাদি করে থাকছেন অনেকে। ছাত্রীদের অভিযোগ, দেড় বছর ধরে তারা হলের গণরুমে অবস্থান করছেন। তাদের গণরুমে না রাখার প্রতিশ্রুতিতে প্রথম দিকে দুই মাসের অধিক অনলাইনেও ক্লাস নেওয়া হয়। তবুও তাদের আসন নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাদের দাবি, অবিলম্বে আবাসিক হলে আসন বরাদ্দ দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি, বিভিন্ন কারণে ছাত্রীদের হলগুলোতেও গণরুম সৃষ্টি হয়েছে। তবে শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়া হলের তুলনায় অন্য হলগুলোতে সংকট কিছুটা কম। এর আগে গত ২৩ জুলাই হলে সিটের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ছাত্রীরা। তখন উপাচার্য, প্রক্টর ও অন্য শিক্ষকরা ঘটনাস্থলে এসে ছাত্রীদের ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে আবাসিক হলে আসন নিশ্চিত করবেন বলে আশ্বাস দেন।

 

সর্বশেষ খবর