কলেজ ফান্ডের ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সিলেটের এক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিনি হলেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের রাগীব-রাবেয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. ছিফাত আলী। একই সঙ্গে সিনিয়র শিক্ষক গৌতম চন্দ্র সাহার বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান করছেন সংস্থাটি। গতকাল দুদকের জনসংযোগ দফতর সূত্রে এসব জানা গেছে।

অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারী কর্মকান্ডে তাদেরই এক সহকর্মীর অভিযোগ আমলে নিয়ে সম্প্রতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। এর আগে ওই ধরনের অভিযোগ আমলে নেওয়ার জন্য দুদককে নির্দেশনা দেন সিলেটের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত। দুদক সূত্র জানায়, রাগীব-রাবেয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান ছিফাত আলী অন্যদের সহযোগিতায় কলেজ ফান্ডের ১৯ লাখ ৯৬ হাজার ৮০৮ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ ছাড়া ২০১৩ সালে কলেজ শাখার পাঠদানের অনুমতি নিয়ে আসার জন্য ১৫ লাখ টাকা প্রতিষ্ঠান প্রধান, সভাপতি ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার যৌথ অ্যাকাউন্টে জমা রাখেন। কিন্তু পরবর্তী বা বর্তমান সময়ে ওই টাকার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে প্রতি বছর কল্যাণ কিংবা দরিদ্র তহবিলে প্রায় ৭৫ হাজার ও গ্র্যাচুইটি তহবিলে প্রায় ৮০ হাজার টাকা জমা হলেও এই টাকারও হদিস পাওয়া যায়নি। অথচ অনেক শিক্ষক-কর্মচারী অবসরজনিত কারণে বা চাকরি ছেড়ে চলে গেলেও তাদের প্রাপ্য গ্র্যাচুইটির টাকা প্রদান করা হয়নি এবং এই খাতের কোনো টাকা জমাও পাওয়া যায়নি। এ ছাড়াও কমিটির অনুমোদন ছাড়াই গ্রামীণ ব্যাংক লামাকাজী শাখায় হিসাব খুলে লাখ লাখ টাকা অবৈধ লেনদেন করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।