বৃহস্পতিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

অর্থবছরের প্রথম মাসে চমক

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থবছরের প্রথম মাসেই দেশের রপ্তানি খাত চমক দেখিয়েছে। জুলাইয়ে পণ্য খাতে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) গতকাল এই হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে।

ইপিবি জানায়, গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে রপ্তানি আয় বেড়েছে প্রায় ৬০৮ মিলিয়ন ডলার। ওই সময় অর্জিত রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৯৮৫ মিলিয়ন ডলার।

অর্থবছরের প্রথম মাসের অর্জিত রপ্তানি আয় সন্তোষজনক বলে মন্তব্য করেছেন ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান ও সিইও এ এইচ এম আহসান। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, মূল্যস্ফীতি কমে ইউরোপ, আমেরিকায় অর্থনীতিতে কিছুটা চাঙাভাব দেখা দেওয়ায় দেশের রপ্তানি খাতে এই ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। রপ্তানির এই ধারা অব্যাহত থাকলে এটি সরকারের কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করেন ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান।

চলতি অর্থবছরের পণ্য খাতে ৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। গত অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ১১ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে এই লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। রপ্তানি টার্গেট নির্ধারণ করার সময় গত মাসে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছিলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্বাভাবিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সংবিধান অনুযায়ী হবে। নির্বাচন কেন্দ্র করে দেশে কোনো কিছুই বন্ধ থাকবে না। অফিস-আদালত, ব্যাংক-বীমা, ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিকভাবেই চলবে। অতএব নির্বাচনের বছর উপলক্ষে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোনো বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা নেই। অপরদিকে গ্যাস, বিদ্যুৎ সরবরাহের নিশ্চয়তা পেলে এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব বলে জানিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মো. হাতেম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ গ্যাস ও বিদ্যুৎ। এগুলো না পেলে রপ্তানি ১০ শতাংশ কম হতে পারে। এ অবস্থায় অর্থবছরের প্রথম মাসে ১৫ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি রপ্তানি আয়ের ধারা সঠিক পথে আছে বলেই জানাচ্ছেন ইপিবির কর্মকর্তারা।

সর্বশেষ খবর