বৃহস্পতিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

পুলিশের সহায়তায় পালালেন হত্যায় অভিযুক্তরা!

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে তাইজ উদ্দিন (৪০) নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন। উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের পূর্ব দুহুলী গ্রামে মঙ্গলবার বিকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে। গতকাল ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাইজ উদ্দিন মারা যান। তাইজ উদ্দিন ওই গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। আহতরা হলেন, একই গ্রামের মৃত ইব্রাহীমের ছেলে আইয়ুব আলী, খোকার ছেলে আমজাদ আলী ও জাফর আলীর ছেলে কামরুল ইসলাম। এদিকে বিক্ষুব্ধ জনতা অবরুদ্ধ করার পর ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুলিশের সহায়তায় হত্যায় অভিযুক্ত করিম, জুয়েলসহ অন্যান্যরা পালিয়ে যান বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওসি ইমতিয়াজ কবির। তিনি বলেন, পুলিশের কাছে ৯৯৯ নম্বরে কোনো ফোন আসেনি। কোনো আসামিও পালিয়ে যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পূর্ব দুহুলী গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে তাইজ উদ্দিন ও রেয়াজুলের সঙ্গে একই গ্রামের মৃত নজর আলীর ছেলে করিম মিয়ার জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। যা নিয়ে আদালতে একাধিক মামলা বিচারাধীন আছে। মঙ্গলবার বিকালে জোড়গাছ বাজার থেকে টিসিবির পণ্য কিনে বাড়ি ফিরছিলেন তাইজ উদ্দিন। এ সময় করিম মিয়া লোকজন নিয়ে তার পথরোধ করে দেশি অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। পথচারী আইয়ুব আলী, আমজাদ, কামরুল তাইজ উদ্দিনকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাদেরও কুপিয়ে জখম করা হয়। খবর পেয়ে গ্রামবাসী এগিয়ে এলে হামলাকারী করিম, জুয়েল ও আলামিনসহ চার/পাঁচজন বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করে। তখন বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের অবরুদ্ধ করে পুলিশে খবর দেয়। তবে অবরুদ্ধ হামলাকারীরা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে পুলিশ গিয়ে তাদের মুক্ত করে দেয়। এ সুযোগে পালিয়ে যান হামলাকারীরা।

আহত চারজনকে প্রথমে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে আশঙ্কজানক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাইজ উদ্দিনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত তাইজ উদ্দিনের পরিবার কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির বলেন, মৃত্যুর খবর পাওয়ার সঙ্গেই আসামিরা পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর