শুক্রবার, ৪ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

এবারও কি আওয়ামী লীগ প্রার্থী বদলাবে, বিএনপিতে অনেক

রাহাত খান, বরিশাল

এবারও কি আওয়ামী লীগ প্রার্থী বদলাবে, বিএনপিতে অনেক

বরিশালের উজিরপুর ও বানারীপাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত বরিশাল-২ আসনে আওয়ামী লীগের কেউ স্থায়ী হতে পারছেন না। একবার সংসদ সদস্য হলে টানা দ্বিতীয়বার তিনি মনোনয়ন পান না। তাই জনমনে প্রশ্ন ওঠেছে, এবার কী আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদলাবে।

অপরদিকে এই আসনে বিএনপির শহীদুল হক জামালের মৃত্যুর পর আসনটি কবজায় নিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু। জাতীয় পার্টিও এই আসনে একেকবার একেকজনকে মনোনয়ন দিচ্ছে। ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ জাসদ, জাসদ এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী থাকলেও ভোটের মাঠে বড় দুই দলের সঙ্গে কুলাতে পারছে না তারা।

বরিশাল-১ আসনের পাশাপাশি বরিশাল-২ আসনেও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ প্রার্থী হতে পারেন বলে গুঞ্জন আছে। সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় আছেন তার মেজ ছেলে এফবিসিসিআই পরিচালক মঈন উদ্দিন আবদুল্লাহ এবং ছোট ছেলে জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য আশিক আবদুল্লাহও। হাসানাত নিজে প্রার্থী হলে এই আসনে অন্য কেউ প্রার্থী হওয়ার অভিপ্রায় নাও দেখাতে পারেন। তিনি প্রার্থী না হলে বর্তমান সংসদ সদস্য মো. শাহে আলম, স্থানীয় দুই সাবেক সংসদ সদস্য যথাক্রমে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুছ ও মনিরুল ইসলাম মনি, বর্তমান সংরক্ষিত সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তার মীরা, আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান খান, দলের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনিছুর রহমান, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের দৌহিত্র ফাইয়াজুল হক রাজু, জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ও বানারীপাড়া পৌর মেয়র সুভাষ চন্দ্র শীল এবং আওয়ামী লীগ ঘরানার শিল্পপতি ক্যাপ্টেন এম মোয়াজ্জেম হোসেন দলীয় মনোনয়ন চাইতে পারেন। এই আসনে দলের প্রার্থিতার বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুছ বলেন, ২০১২ সাল থেকে আমি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। আমি এই আসনে সংসদ সদস্য ছিলাম। গতবার প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন দেননি। এবার এই আসনে প্রার্থী হব। প্রধানমন্ত্রী যাকে মনোনয়ন দেবেন, দলের জয়ে কাজ করব। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও এস সরফুদ্দিন সান্টু, দলের যুগ্ম মহাসচিব স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, দলের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সহ-সম্পাদক রওনাকুল ইসলাম টিপু এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান। এই আসনে দলের সাংগঠনিক অবস্থা, প্রার্থিতা এবং জয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু বলেন, মনোনয়নের বিষয়টি দলের সিদ্ধান্ত। একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হলে এখানে দল যাকে মনোনয়ন দেবে তিনিই অনায়াসে নির্বাচিত হবেন বলে ধারণা ২০০৮ সালে বরিশাল সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এস সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু। বরিশাল-২ আসনে জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন চিত্রনায়ক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, দলের চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও মহানগর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন তাপস এবং বানারীপাড়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মিজানুর রহমান চোকদার। দলের প্রার্র্থিতার বিষয়ে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ও মহানগর শাখার আহ্বায়ক অধ্যাপক মহসিন-উল ইসলাম হাবুল বলেন, সব আসনেই আমাদের প্রার্থী থাকবে। এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি। আমরা এখন নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি আদায়ের আন্দোলনে আছি। এই আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা নেছার উদ্দিন। ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী তালিকায় আছেন দলের বানারীপাড়া উপজেলা শাখা সভাপতি অধ্যাপক মন্টু লাল কুন্ডু ও জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্য জহিরুল ইসলাম টুটুল। বাংলাদেশ জাসদের দুই প্রার্থী যথাক্রমে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বাদল ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আনিচুজ্জামান। জাসদ থেকে প্রার্থী হবেন সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সহকারী একান্ত সচিব ও বানারীপাড়া উপজেলা জাসদের সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেন। ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সাহেব আলী রনি এই আসনে নিজের প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন।

সর্বশেষ খবর