শুক্রবার, ৪ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

ফুলে ফলে সুরভিত সেই নাগলিঙ্গম

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

ফুলে ফলে সুরভিত সেই নাগলিঙ্গম

নাগলিঙ্গম। একটি ঔষধি বৃক্ষ। এ গাছের ফুল যতটাই না সুন্দর, তার চেয়ে বেশি সুন্দর ফল। গাছের পাতা আর ফুল অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আর এ গাছের ফল ব্যবহার হয় হাতির খাদ্য হিসেবে। প্রতিবছর ঠিক এ সময় অর্থাৎ জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে ফুলে ফলে ভরপুর থাকে এ নাগলিঙ্গম। বিরল প্রজাতির এ গাছের সৌন্দর্যে আকৃষ্ট হয়নি পাহাড়ে এমন মানুষ খুবই কম। জানা গেছে, ১৯৯৮ সালের ১৬মে রাঙামাটি বেতার কেন্দ্র উদ্বোধন করতে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নাগলিঙ্গম চারাটি রোপণ করেন। দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে এ গাছটি পরিচর্যা করে আসছে রাঙামাটি বেতার কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। রাঙামাটি আঞ্চলিক বেতার কেন্দ্রের উপ-পরিচালক মো. সেলিম জানায়, নাগলিঙ্গম গাছটি আসলে খুবই সুন্দর। গাছের ফুল আর গন্ধ যে কাউকে আকর্ষণ করবে। শুনেছি সারা বাংলাদেশে মাত্র ৫১টি গাছ রয়েছে। এর মধ্যে তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটিতে এই একটি গাছ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মৃতি হিসেবে এ গাছ এখানে যত্নসহকারে বেড়ে উঠেছে। রাঙামাটি বেতার কেন্দ্রের কর্মচারী মিটু বলেন, নাগলিঙ্গম ফুলগুলো উজ্জ্বল লাল ও গোলাপি রঙের। তিনি বলেন, শুনেছি একটি গাছে প্রায় এক হাজার ফুল ধরতে পারে। ফুল দৈর্ঘ্যে ৬ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বড় হয়। ফুলের পাপড়ি গোলাকৃতি, বাঁকানো এবং ভিতর ও বাইরে যথাক্রমে গাঢ় গোলাপি ও পান্ডুর হলুদ। নাগলিঙ্গমের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর পরাগচক্র সাপের ফণারমতো বাঁকানো এবং উদ্যত ভঙ্গি। রাতের বেলায় ফুল থেকে সুগন্ধ বের হয়। যা সকাল পর্যন্ত থাকে। কৃষি বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার মতে, ওষুধ হিসেবে এ বৃক্ষের ফুল, পাতা এবং বাকলের নির্যাস এন্টিবায়োটিক, এন্টিফাঙ্গাল এবং এন্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে পেটের পীড়া দূরীকরণে এর জুড়ি নেই। আবার পাতা থেকে তৈরি রস ত্বকের সমস্যা দূরীকরণে খুবই কার্যকর।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর