শিরোনাম
শনিবার, ৫ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

অনাবাদি জমিতে কচু চাষে আয়

সাইফুল ইসলাম বেগ, বিশ্বনাথ (সিলেট)

অনাবাদি জমিতে কচু চাষে আয়

সিলেটের বিশ্বনাথে অনাবাদি জমিতে কচু চাষ করে পাঁচ মাসে লাখ টাকা আয় করছেন লুৎফুর রহমান। কচু চাষে এনেছেন অভাবনীয় সাফল্য। অল্প সময় ও পরিশ্রমে পুঁজির নয় গুণ মুনাফা হচ্ছে তার। এ খেত থেকেই খরচ বাদে লাখ টাকার ওপরে আয়ের আশা তার। পাশাপাশি অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনার জন্য স্থানীয়দের উদ্বুদ্ধ করছেন তিনি। সরেজমিন উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের সমের্মদান গ্রামের কৃষক লুৎফুর রহমানের কচু প্রদর্শনী দেখতে যাওয়া হয়। তখন মাঠ পরিদর্শনে ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায়, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মনোজ কান্তি দেবনাথ ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জাকারিয়া হাবিব। এ সময় কথা হয় কৃষক লুৎফুর রহমানের সঙ্গে। তিনি জানান, এক বিঘা জমি পরিত্যক্তই ছিল। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহায়তায় কচুর প্রদর্শনী নেই। মার্চ মাসের ২৯ তারিখ জমিতে রোপণ করি ‘বারি পানিকচু-১’ (লতিরাজ) জাতের ১ হাজার চারা। ফলন আসতে শুরু করে পরের মাস (এপ্রিল) থেকেই। জুন মাসের শুরুর দিক থেকে আরম্ভ করি লতি বিক্রি। এ পর্যন্ত বিক্রি করেছি ৮৭৫ কেজি। ৪০ টাকা কেজি দরে মুনাফা হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। আগামী এক মাস ওই পরিমাণ বিক্রি হবে লতি। শেষে কচুর মোড়া সর্বনিম্ন ১০টা করে বিক্রি করলেও আয় হবে আরও ৪০ হাজার টাকা। এতে মাত্র ১০ হাজার টাকা খরচ করে পাঁচ মাসে আমার আয় দাঁড়াবে লাখ টাকা।

এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বলেন, লতি কচু এমন একটি ফসল যার লতি, পাতা, ফুল ও গাছ সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। এটি আয়রনসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ। লুৎফুর রহমান উপজেলার একজন অগ্রগামী কৃষক। সে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের কৃষক গ্রুপের সদস্য। তাকে এ প্রকল্প থেকে লতিরাজ পানি কচুর প্রদর্শনী দেওয়া হয়। আশা করি খরচ বাদ দিয়ে ১ লাখ টাকা তার নিট লাভ থাকবে।

সর্বশেষ খবর