বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিসমিল্লাহ গ্রুপের অর্থ জালিয়াতির তদন্ত ফের দুদকে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রায় আট বছর পর আবারও বিসমিল্লাহ গ্রুপের অর্থ জালিয়াতির ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নয়া তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে দুদকের উপপরিচালক মশিউর রহমানকে। দুদকের তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চার্জশিট দেওয়ার পর অভিযুক্তরা আদালতে জানিয়েছেন- শুধু তারাই নয়, আরও অনেক ব্যক্তি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত। এ জন্যই সম্প্রতি ফের তদন্ত দুদকের কাছে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, ২০১৩ সালে টেরি টাওয়েল (তোয়ালে জাতীয় পণ্য) উৎপাদক বিসমিল্লাহ গ্রুপের বিরুদ্ধে দেশের পাঁচটি ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ অনুসন্ধান করে সংস্থাটি। এ ঘটনা অনুসন্ধানে ওই বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে দুদক। তদন্ত শেষে ৩ নভেম্বর ১২টি মামলায় ৫৪ জনকে আসামি করে সংস্থাটি। ২০১৫ সালে ১ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ এনে বিসমিল্লাহ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী, তার স্ত্রী এবং গ্রুপের চেয়ারম্যান নওরিন হাসিব ও ব্যাংক কর্মকর্তাসহ মোট ৫৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় দুদক।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর একটি মামলায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খাজা সোলেমান আনোয়ার চৌধুরী, তার স্ত্রী ও গ্রুপের চেয়ারম্যান নওরিন হাসিবসহ নয়জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের ৩০ কোটি ৬৭ লাখ ২৩ হাজার ৩৭৩ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

দুদক সূত্র জানায়, আত্মসাৎ করা ১ হাজার ১৭৪ কোটি টাকার মধ্যে ফান্ডেড টাকার পরিমাণ ৯৯০ কোটি, নন-ফান্ডেড টাকা হচ্ছে ১৮৪ কোটি। বিসমিল্লাহ টাওয়েলস, বিসমিল্লাহ ট্রেডার্স ও আলফা নিট কম্পোজিট টাওয়েলসসহ কয়েকটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া ব্যাক টু ব্যাক এলসি, রপ্তানি বিল ও ইনল্যান্ড বিল পারচেজের (আইবিপি) মাধ্যমে মোট পাঁচ ব্যাংক থেকে ঋণের নামে এসব টাকা আত্মসাৎ করা হয়।

সর্বশেষ খবর