বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা
সিলেটে তুলকালাম

পুলিশ অ্যাসল্ট মামলায় আসামি ৩০০ তিনজন কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটে কোরআন শরিফ পোড়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ জনতার সংঘর্ষের ঘটনায় ‘অ্যাসল্ট’ মামলা হয়েছে। ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা প্রায় ৩০০ জনকে। এ ছাড়া কোরআন শরিফ পোড়ানোর ঘটনায় দায়ের করা অপর মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষসহ ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অন্য দুই শিক্ষককে। গতকাল দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ওই তিনজনের রিমান্ডের আবেদন করেছে। গত সোমবার রাতে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) কোতোয়ালি থানায় প্রায় ৩০০ জনকে আসামি করে অ্যাসল্ট মামলাটি দায়ের করেন এসআই অঞ্জন কুমার দেবনাথ। গতকাল বিকাল পর্যন্ত ওই মামলার কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ ছাড়া কোরআন শরিফ পোড়ানোর অভিযোগে অপর মামলাটি দায়ের করেন কোতোয়ালি থানার এসআই এ এইচ এম রাশেদ ফজল। ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে সিলেট নগরীর আখালিয়ার ধানুহাটার পাড়ের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নুরুর রহমান, একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মাহবুব আলম ও ইসহাক আহমকে। ঘটনার পরপরই নুরুর রহমান ও মাহবুব আলমকে আটক করে পুলিশ। পরদিন বিকালে আটক করা হয় ইসহাককে। গতকাল ওই তিনজকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত রবিবার রাতে নগরীর আখালিয়াস্থ আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে পোড়ানোর জন্য ৪৩টি কোরআন শরিফে আগুন দেন অধ্যক্ষ নুরুর রহমান। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে লোকজন অধ্যক্ষ নুরুর রহমান ও শিক্ষক মাহবুব আলমকে মারধর করে কলেজের একটি কক্ষে আটকে রাখেন। পুলিশ তাদের উদ্ধার করতে গেলে সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে বেশ কয়েক রাউন্ড শটগানের গুলি, টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে হয়। প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। ভাঙচুর করা হয় পুলিশের গাড়িও। আটকদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, কলেজের খণ্ডকালীন শিক্ষক ও সিলেট বেতারের কারি ইসহাক আহমদ রবিবার বিকালে অধ্যক্ষ নুরুর রহমানের কাছে নতুন এক কার্টন ও পুরনো এক বস্তা কোরআন শরিফ দিয়ে যান।

তিনি পুরনোগুলো পুড়িয়ে ফেলতে ও নতুনগুলো বিতরণ করতে বলেন। রাতে নুরুর রহমান পুরান কোরআন শরিফগুলো পোড়ানো শুরু করলে এলাকার লোকজন জানতে পেরে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এসএমপির উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ জানান, কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় আটক তিনজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ তাদের রিমান্ডের আবেদন করেছে। আর পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় প্রায় ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর