শুক্রবার, ১১ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা
স্বাভাবিক হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতি

বন্যায় শিশুসহ ১০ মৃত্যু

♦ চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে উন্নতির দিকে। পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি সামনে আসছে ♦ যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার, চট্টগ্রাম-রাঙামাটি, কেরানীহাট- বান্দরবানসহ বিভিন্ন সড়কে

প্রতিদিন ডেস্ক

বন্যায় শিশুসহ ১০ মৃত্যু

ছবি : চট্টগ্রাম

গত দুই দিনে বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাওয়ায় দেশের বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে। চট্টগ্রাম, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। এসব উপজেলায় বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সামনে আসছে। যদিও এখনো পর্যন্ত সার্বিক ক্ষতির হিসাব নির্ণয় করতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক, চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়ক, কেরানীহাট-বান্দরবানসহ আঞ্চলিক ও স্থানীয় সড়কগুলোতে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এদিকে বিভিন্ন এলাকায় শিশুসহ ১০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলায় গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চার শিশুসহ পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে পেকুয়া উপজেলায় তিনজন এবং চকরিয়া উপজেলায় অজ্ঞাতনামা একজনসহ দুজনের লাশ পাওয়া যায়। রাঙামাটির বাঘাইছড়ির খেদারমারা ইউনিয়নের হীরারচর এলাকায় পানিতে ডুবে জুনি চাকমা (৭) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর আগে বুধবার বিকালে চকরিয়ার পাটালিপুল থেকে মোহাম্মদ আনিস (১২) ও দোহাজারী থেকে আবু সৈয়দ (৮১) এর লাশ উদ্ধার করা হয়। এরা দুজন সম্পর্কে দাদা-নাতি। তারা চন্দনাইশে ভাড়া বাসায় থাকতেন। দুই দিন আগে তারা বন্যার পানিতে ভেসে যান। গতকাল সকালে বদরখালী ইউনিয়নের ভেরুয়াখালী নতুন বাজারের পাশে মো. জিশান নামের এক শিশুর এবং দুপুরে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের মহেশখালী খাল লাগোয়া এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

চট্টগ্রাম : বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক, চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়ক, কেরানীহাট-বান্দরবানসহ আঞ্চলিক ও স্থানীয় সড়কগুলোতে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। সেনাবাহিনী, বিজিবি, স্থানীয় প্রশাসনসহ অনেকে ব্যক্তিগতভাবে দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বান্দরবান, খাগড়াছড়ির সাজেকসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র থেকে পর্যটকরা নিজ গন্তব্যে যেতে শুরু করেছেন। তিন পার্বত্য জেলার সদর এলাকাগুলোতে পরিস্থিতি উন্নতি হলেও দুর্গম উপজেলাগুলোর সার্বিক ক্ষয়ক্ষতি এখনো জানা যাচ্ছে না। বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানিয়েছেন, পাহাড়ি ঢলে বান্দরবানে এখনো পর্যন্ত আটজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। এছাড়া দুজন নিখোঁজ ও ১৭ জন আহত হয়েছেন। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু হয়েছে। বান্দরবান সদর ও লামা থেকে পানি নেমে গেছে। সাঙ্গু ও মাতামুহুরি নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নেমেছে। তবে রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচির সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়নি। এখনো পর্যন্ত বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক হয়নি। বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাটে বড় গর্তসহ বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ, লোহাগাড়া, হাটহাজারীতে এখনো পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া সাতজন এখনো পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে। সর্বশেষ বুধবার (৯ আগস্ট) বিকালে চকরিয়ার পাটালিপুল থেকে মোহাম্মদ আনিস (১২) ও দোহাজারী থেকে আবু সৈয়দ (৮১) এর লাশ উদ্ধার করা হয়। এরা দুজন সম্পর্কে দাদা-নাতি। তারা চন্দনাইশে ভাড়া বাসায় থাকতেন। দুই দিন আগে তারা বন্যার পানিতে ভেসে যান।

কক্সবাজার : গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত কক্সবাজারে ভারী বৃষ্টি হয়নি। ভোরে ও দুপুরে হালকা বৃষ্টি হলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী ছিল না। তবে পানি নামতে শুরু করলেও ঘরে ফেরা মানুষদের মধ্যে নতুন শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাড়িতে রান্না করে খাওয়ার কোনো পরিবেশ নেই। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট। বুধবার সকালে চকরিয়া উপজেলায় পানিতে ডুবে থাকা কিছু সড়কে ভাঙনের তীব্রতা চোখে পড়ে। কাকরা-মিনাবাজার সড়কটির ৩ কিলোমিটার এলাকায় কমপক্ষে ৫০টি স্থান ভেঙে গেছে। ইতোমধ্যে সড়কটি চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। গতকাল সকাল থেকে দুপর পর্যন্ত পেকুয়া ও চকরিয়ায় চার শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে পেকুয়া উপজেলায় তিনজন, চকরিয়া উপজেলায় একজনের লাশ পাওয়া যায়। চার শিশু হলো- চকরিয়ার বদরখালী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভেরুয়াখালীপাড়ার মো. এমরানের ছেলে মো. জিশান (৯), পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের নুরুল আলমের মেয়ে তাহিদা বেগম (১০) ও ছেলে আমির হোছাইন (৭) এবং তাদের নিকটাত্মীয় ছাবের আহমদের মেয়ে হুমাইরা বেগম (৮)। এর মধ্যে গতকাল সকাল ৮টার দিকে পেকুয়ার উজানটিয়া ইউনিয়নের ফেরাসিঙ্গাপাড়ার সাহেবখালী খাল থেকে তিন শিশুর লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা।

চকরিয়া (কক্সবাজার) : কক্সবাজারের চকরিয়ায় টানা বর্ষণে ও উজান থেকে নেমে আসা বন্যায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। গত সোমবার মাতামুহুরী নদীর লক্ষ্যারচর পয়েন্টে লাকড়ি ধরতে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয় শাহআলম (৩৫) নামে এক যুবক। দুই ঘণ্টা পর একই স্থানে শাহআলমের লাশ উদ্ধার হয়। ওই দিন বরইতলী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বড়ঘোনা এলাকায় মাটির ঘরের দেয়াল চাপায় মো. সাবিদ (৫) ও তাবাচ্ছুম (১) নামে ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টার দিকে মানিকপুর এলাকা থেকে বন্যার পানিতে ডুবে মারা যাওয়া আনোয়ার হোসেন (৭০) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার হয়। আনোয়ার আগের দিন সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন। একইদিন রাত ১০টার দিকে বিএমচর ইউনিয়নের উত্তর বহদ্দারকাটা এলাকায় বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া সেফটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে বাবা ও দুই ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড হাজী রওশন আলী পাড়া এলাকায় রেললাইনের কালভার্ট থেকে বন্যার পানিতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয় মো. আসিফ (১২) নামে এক শিশু। তার এখনো খোঁজ মেলেনি। এদিকে গতকাল বেলা ১২টার দিকে বদরখালী ইউনিয়নের গোঁয়াখালী এলাকা থেকে মো. জিহান (১২) নামে বন্যার পানিতে ভাসমান এক শিশুর লাশ উদ্ধার হয়েছে। এ ছাড়া খুটাখালী এলাকা থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়িতে চেংগী ও মাইনি নদীর পানি আবারও বৃষ্টি হওয়ায় বাড়ছে। গত বুধবার এক দিন বৃষ্টি না হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন নিজ নিজ বাড়ি ঘরে ফিরেছিল। তবে গতকাল সকাল থেকে প্রচণ্ড বৃষ্টি হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের কাছে আবারও বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। পাহাড়ি পলি মাটিতে কাদায় একাকার হয়ে দুর্ভোগে পড়েছে বন্যা কবলিত পরিবারগুলো। খাগড়াছড়ি সদরের বন্যা আক্রান্ত পরিবারগুলো অনেকে আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে নিজ নিজ বাড়ি ঘরে ফিরে ছিলেন। কিন্তু বৃষ্টিপাত আবারও বেড়ে যাওয়ায় চেংগী নদীর পানিতে ডুবে যাওয়ার আশক্সকা করছেন। তবে দীঘিনালা উপজেলার মাইনি নদীর পানি এখনো তেমন একটা কমে নাই।

বান্দরবান : ছয় দিন টানা অচলাবস্থার পর গতকাল সকাল থেকে বান্দরবানের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে। সকাল ১০টার মধ্যেই প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে পানি নেমে যায়। তবে বাড়িঘরে যাওয়ার মতো পরিবেশ না থাকায় গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রগুলো থেকে কাউকে বাড়ি যেতে দেখা যায়নি। বান্দরবান জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জেলা সদরের ৪৬টি আশ্রয় কেন্দ্রসহ জেলায় মোট ২৫২টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যা দুর্গতদের মধ্যে রান্না করা খাবার ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করা হচ্ছে।

ফেনী : ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামে উজানের পানি লোকালয়ে প্রবেশের ক্ষিপ্রতা কমলেও এখন বিভিন্ন সড়ক ও লোকলয়ে রয়েছে পানি। গত দুই দিন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় উজানের পানি লোকালয়ে প্রবেশের বেগ অনেকটা কমেছে। তবে গতকাল বিকাল থেকে আবার বর্ষণ শুরু হওয়ায় সংকিত এখানকার বাসিন্দারা। মুহুরী ও কহুয়া নদীর ভাঙা বাঁধ দিয়ে উজান থেকে লোকালয়ে পানি প্রবেশের বেগ কিছুটা কমলেও এখনো দুই উপজেলার ১০ গ্রামের লোকালয়ে পানি রয়েছে। চতুর্থ দিনের মতো ফেনী টু পরশুরাম সড়ক রয়েছে পানির নিচে। তবে প্রধান এ সড়ক থেকে পানি কিছুটা কমেছে। বাঘাইছড়ির খেদারমারা ইউনিয়নের হীরারচর এলাকায় পানিতে ডুবে জুনি চাকমা (৭) নামে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

কক্সবাজার : কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলায় বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি চার শিশুসহ পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পেকুয়া ও চকরিয়ায় চার শিশুসহ পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে পেকুয়া উপজেলায় তিনজন এবং চকরিয়া উপজেলায় অজ্ঞাতনামা একজনসহ দুজনের লাশ পাওয়া যায়। মৃতরা হলো- চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভেরুয়াখালীপাড়ার মো. এমরানের ছেলে মো. জিশান (৯) এবং পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের নুরুল আলমের মেয়ে তাহিদা বেগম (১০) ও ছেলে আমির হোছাইন (৭) ও তাদের নিকটাত্মীয় ছাবের আহমদের মেয়ে হুমাইরা বেগম (৮)।

এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা অপরজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের মহেশখালী খাল লাগোয়া এলাকা থেকে। এর মধ্যে গতকাল সকাল ১১টার দিকে পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের ফেরাসিঙ্গাপাড়ার সাহেবখালী খাল থেকে তিন শিশুর লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা।

গতকাল সকাল ১০টায় বদরখালী ইউনিয়নের ভেরুয়াখালী নতুন বাজারের পাশে মো. জিশান নামের এক শিশুর এবং বেলা ১২টার দিকে চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের মহেশখালী খাল লাগোয়া এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন চকরিয়া থানার ওসি মো. জাবেদ মাহমুদ।

লালমনিরহাট : উজানের ঢল ও বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি আবারও বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নদী পাড়ের বাসিন্দারা আবারও বন্যার আশঙ্কা করছেন। গতকাল সকাল ৯টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের দোয়ানী পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

১২ অঞ্চলের নদীবন্দরে সতর্কতা : ঢাকাসহ দেশের ১২টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে অস্থায়ী ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত তোলা হয়েছে। গতকাল এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়াবিদ মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোতে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর