শনিবার, ১২ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

এসএসসিতে ১২০০ নম্বরপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হেলিকপ্টার ভ্রমণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

এসএসসিতে ১২০০ নম্বরপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হেলিকপ্টার ভ্রমণ

বগুড়ার টিএমএসএস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় ১২০০-এর বেশি নম্বর ও প্রাথমিকে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও আনন্দ ভ্রমণে হেলিকপ্টারে ঘোরানো হলো। গতকাল দুপুর ১২টায় স্কুল ক্যাম্পাসে এই হেলিকপ্টারে ভ্রমণ করানো হয়। হেলিকপ্টারে ঘুরতে পারায় শিক্ষার্থীরা ছিল আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত।

টিএমএসএস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় বিদ্যালয়ের ৭৪ জন শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে। তাদের মধ্যে ১৬ জন শিক্ষার্থী এসএসসিতে ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১২০০ বেশি নম্বর পেয়েছে। এ ছাড়াও এই বছরে প্রাথমিকে এই বিদ্যালয়ের স্কুল শাখা থেকে চারজন ট্যালেন্টপুলে ও দুজন সাধারণ শাখায় বৃত্তি পেয়েছে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই এসএসসি পরীক্ষায় ১২০০ নম্বর পাওয়া ও প্রাথমিকে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মিষ্টি খাওয়ানো হয়। এরপর টিএমএসএসের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিসিএল এভিয়েশনের হেলিকপ্টারে একেকবার চারজন করে ছয় বারে ২২ শিক্ষার্থীকে নিয়ে ঘুরিয়ে দেখানো হয় বগুড়া সদর উপজেলা। প্রাথমিকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাওয়া মো. আবদুল্লাহ জানান, অধ্যক্ষ স্যার আমাদের বলেছিলেন, তোমরা বৃত্তি পেলে হেলিকপ্টারে চড়িয়ে ঘোরানোর ব্যবস্থা করা হবে। আজ তাই হয়েছে। জীবনে প্রথমবারের মতো হেলিকপ্টারে ভ্রমণ করেছি। খুবই আনন্দ পেয়েছি। আগামীতে আরও ভালো ফলাফল করব। এসএসসিতে ১২৫৮ নম্বর পাওয়া মাহামুদুল হাসান জানান, আকাশে উড়ার স্বপ্ন তো সবারই। এসএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করায় হেলিকপ্টারে আকাশ ভ্রমণ করেছি। এ ধরনের উৎসাহ আমাদের ভবিষ্যৎ জীবনে সফল মানুষ গড়তে কাজে আসবে। আসলে এই অনুভূতি বলে শেষ করার নয়। এখন ইচ্ছা এইচএসসিতেও ভালো ফলাফল করে দেশরক্ষায় বিমানবাহিনীতে যোগ দিয়ে দেশসেবায় ভূমিকা রাখব। টিএমএসএসের প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপিকা ড. হোসনে আরা বেগম জানান, আমি কর্মজীবনের শুরুতে কলেজের অধ্যাপক ছিলাম। নিজে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে সেই সময় আমার স্বপ্ন ছিল বগুড়াকে শিক্ষানগরী বানাতে অবদান রাখব। তারই ধারাবাহিকতায় আজ এই ব্যতিক্রমী আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় আরও উৎসাহিত জোগাতে সহযোগিতা করছি। তাদের মনোবল আরও দৃঢ় করতেই এই আয়োজন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের স্বীকৃতি দিতে পেরে আমাদেরও ভালো লাগছে।

সর্বশেষ খবর