মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা
ঢাকা ও গাজীপুরে গ্যাস বিস্ফোরণ

একজন নিহত, পাঁচজন আশঙ্কাজনক

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার জুরাইন ও গাজীপুরের বোর্ডবাজার এলাকায় পৃথক গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই পরিবারের আটজন দগ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে একজন মারা গেছেন। রবিবার রাতে এ ঘটনা দুটি ঘটে। পরে তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দগ্ধদের মধ্যে জুরাইনে তিনজন ও গাজীপুরের তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তাদের একজন মারা গেছেন। বাকি দুইজনের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত। রবিবার রাত ২টার দিকে জুরাইনের মাদবর বাজার সলিমুল্লাহ রোড মান্নান মাস্টারের চারতলা বাড়ির নিচতলায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হন। দগ্ধরা হলেন- ফুচকা বিক্রেতা আলতাফ সিকদার (৭০), তার স্ত্রী গৃহিণী মর্জিনা বেগম (৫০), মেয়ে মুক্তা খাতুন (৩০), মেয়ে জামাই আতাহার আলী (৩৫) এবং নাতনি আফসানা (৫)। বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, দগ্ধ পাঁচজনকে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে আতাহার আলীর ৫৫ শতাংশ, মুক্তার ৪৫ শতাংশ, আফসানার ২৫ শতাংশ, মর্জিনার ৫ শতাংশ ও আলতাফের ২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

এদের মধ্যে আতাহার আলী, মুক্তা ও আফসানার অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্বজনরা জানান, দগ্ধদের সবার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপার কচুয়ায়। এক সপ্তাহ আগে মেয়ে মুক্তা তার স্বামী ও মেয়েকে নিয়ে জুরাইনে বাবার বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। দগ্ধ আলতাফ সিকদারের শ্যালক মো. মাহবুব জানান, ওই এলাকাতে বেশিরভাগ সময়ে গ্যাস থাকে না, যা-ও থাকে তা একেবারে কম, তা দিয়ে রান্না করা সম্ভব হয় না। তবে, রাতে আবার গ্যাস থাকে। তাই রাতেই রান্নার কাজ বেশি করা হয়। আমার বোনের পরিবার মান্নান মাস্টারের চতুর্থ তলা বাড়ির নিচতলায় ভাড়া থাকেন। আমি যতটুকু শুনেছি, তাদের বাসার পাশের বাড়ির গ্যাসের লাইন লিকেজ থেকে ভগ্নিপতিদের রুমে গ্যাসে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। রাত ২টার দিকে ভাগনি মুক্তা রান্না ঘরে ডাবলি বুট গরম করতে চুলা ধরাতে যায়। দিয়াশলাই ধরাতেই বিস্ফোরণ হয়ে গোটা রুমে আগুন ধরে যায়। এতে তারা দগ্ধ হয়।

এদিকে, বোর্ডবাজার এলাকার একটি বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধরা হলেন- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার মিনারুল ইসলাম (৩৫), তার বাবা পরমাণু মন্ডল (৬৫) ও মা খাদিজা বেগম (৫২)। দগ্ধদের স্বজনরা জানান, রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরপর ওই বাড়িওয়ালা ঝলসে যাওয়া তিনজনকেই বাসার ভিতর আটকে রাখে। বাসার ক্ষয়ক্ষতি পরিমাপ করার জন্য তিনি তাদের আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন। পরবর্তীতে গাছা থানা পুলিশ এবং মিনারুলের সহকর্মী সেখানে গিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখার প্রায় এক ঘণ্টা পর ওই বাসা থেকে তাদের বের করে আনেন এবং স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর