মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

শিক্ষার্থীদের বাধায় বাসভবনে না ঢুকে ফেরত উপাচার্য

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়েত মৈত্রী হলে আসন সংকট নিরসনের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বাধায় বাসভবনে ঢুকতে পারেননি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে নিজের বাসভবনে ঢোকার সময় শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে পড়েন তিনি। পরে নিজের কার্যালয়ে ফেরত যান।

এর আগে গতকাল দুপুর থেকে তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেন কুয়েত মৈত্রী হলের শিক্ষার্থীরা। এদিকে দাবির বিষয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্যের কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি দল। তবে ওই বৈঠক থেকে দাবির বিষয়ে সমাধান না পাওয়ায় অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে উপাচার্য নিজের গাড়ি নিয়ে তাঁর বাসভবনে ঢোকার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান ও রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার আসেন। তবে উপাচার্য বাসভবনের প্রবেশমুখেই বসে পড়েন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন প্রক্টর। তবে নিজেদের দাবিতে অনড় থাকেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় ১০ মিনিট বাসভবনের প্রবেশমুখে অপেক্ষার পর গাড়ি ঘুরিয়ে প্রশাসনিক ভবনে নিজের কার্যালয়ে ফেরত যান তিনি।

এর আগে কয়েক দফায় হলের আবাসিক শিক্ষকদের একটি দল সেখানে এসে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার কথা জানালেও আন্দোলন থেকে সরে আসেননি শিক্ষার্থীরা। তারা উপাচার্যের কাছে আসন সংকটের তাৎক্ষণিক সমাধান হিসেবে কুয়েত মৈত্রী হলের ৩০০ শিক্ষার্থীকে অন্য হলে স্থানান্তরের দাবি জানাচ্ছেন। তাদের অন্য দাবির মধ্যে আছে- হলের আসন সংখ্যার সঙ্গে সমন্বয় রেখে শিক্ষার্থী সংযুক্তি দেওয়া এবং মূল ভবনের প্রতি কক্ষে ছয়জনের বেশি শিক্ষার্থী বরাদ্দ দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট না করা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, উপাচার্য আমাদের অন্য দুটি দাবির সঙ্গে একমত হয়েছেন। কিন্তু তিনি আসন সংকটের তাৎক্ষণিক কোনো সমাধান দিতে পারেননি। ৩০০ শিক্ষার্থী স্থানান্তরের দাবির ব্যাপারে তিনি বলেছেন এতে প্রশাসনিক জটিলতা আছে। কিন্তু প্রশাসনিক জটিলতার কথা বলে তিনি দায় এড়াতে পারেন না। এর জন্য তারাই দায়ী। এর জন্য আমরা কেন ভুক্তভোগী হব? প্রশাসনিক জটিলতা থাকলে সেটা সমাধান করার দায়িত্বও তাদের।

 

সর্বশেষ খবর