মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

জঙ্গি সন্দেহে জনতার হাতে আটক ১৭

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় জঙ্গি সন্দেহে আরও ১৭ জনকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। গতকাল সকালে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা কৌশলে তাদের কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে এলে স্থানীয় জনতা আটক করে। এর মধ্য নারী ও পুরুষ রয়েছেন। খবর পেয়ে কুলাউড়া থানা পুলিশ এসে তাদের ওই ইউনিয়ন পরিষদে পুলিশ প্রহরায় আটকে রাখে। আটকদের মধ্যে সিরাজগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক সোহেল তানজিম ও আবদুল আহাদ মাহমুদ নামে একজন পঙ্গু লোক রয়েছেন বলে জানা যায়। স্থানীয়দের সন্দেহ ওই পঙ্গু ব্যক্তিই আবদুল আহাদ মাহমুদ হতে পারেন। যিনি জঙ্গিদের কমান্ডার নামে পরিচিত। সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আটকদের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি।

এদিকে ১৭ সন্দেহভাজন আটকের খবর পেয়ে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট ঢাকা থেকে কুলাউড়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। জানা যায়, সকালে কর্মধা ইউনিয়নের আছকরাবাদ চা-বাগানের বাঁশফিল্ড খেলার মাঠ থেকে তারা পাঁচটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন। তারা ওই গ্রামের কালাপাহাড় থেকে নেমে এসেছিলেন। এ সময় চালকদের সন্দেহ হলে তারা নিজেদের মধ্যে কথা বলে যাত্রীসহ সবকটি আটোরিকশা ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান। পরে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন। একজন সিএনজিচালক জানান, যাত্রীরা স্থানীয় নয়, সবাই অপরিচিত। এর মধ্য একজনকে কাঁধে বহন করে নিয়ে এসে অটোরিকশায় ওঠানো হয়। তার অটোরিকশায় তিন যাত্রী ওঠেন। যাত্রীরা জানান তারা বনভোজনে এসেছেন। তাদের বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে কথাবার্তা সন্দেহজনক হওয়ায় কৌশলে ইউনিয়ন পরিষদে নেওয়া হয়। আরেক সিএনজিচালক জানান, তার অটোরিকশায় ছয়জন অপরিচিত যাত্রী ওঠেন। এর মধ্যে একজন চিকিৎসক রয়েছেন। কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মহিবুল ইসলাম আজাদ জানান, আটক ১৭ জন নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘ইমাম মাহমুদ কাফেলা’র সদস্য বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, শনিবার ভোরে কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের পূর্ব টাট্টিউলি গ্রামের একটি দুর্গম পাহাড়ি টিলা থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠন ইমাম মাহমুদ কাফেলার ১০ সদস্যকে আটক করেছিল কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। এর মধ্যে চারজন পুরুষ ও ছয়জন নারী। তাদের সঙ্গে তিন শিশু ছিল।

 

সর্বশেষ খবর