বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে টেকসই পরিকল্পনা জরুরি

ড. কবিরুল বাশার

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে টেকসই পরিকল্পনা জরুরি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার বলেছেন, দেশে প্রতি বছরই ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। ডেঙ্গুর বাহক মশাকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রয়োজন সমন্বিত মশক ব্যবস্থাপনার বিজ্ঞানভিত্তিক প্রয়োগ। এ জন্য চারটি বিষয়ে নজর দিতে হবে। গতকাল তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, পরিবেশের বিভিন্ন সমস্যার কারণে মশার জন্ম হয়। পরিবেশগত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মশার প্রজনন স্থল কমানো এবং ধ্বংস করে মশাকে সহজভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। উপকারী প্রাণীর মাধ্যমে মশাকে নিয়ন্ত্রণ করার বিভিন্ন পদ্ধতি পৃথিবীতে প্রচলিত আছে। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কপিপোড এবং এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার ব্যবহারও পৃথিবীতে প্রচলিত আছে। এ জাতীয় জীবজন্তু নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন। এই কীটতত্ত্ববিদ আরও বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণে লার্ভিসাইড এবং এডাল্টিসাইড কীটনাশক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। প্রতিটি কীটনাশকের একটি নির্দিষ্ট ডোজ এবং কতদিন পরপর কোন মাত্রায় ব্যবহার করতে হবে তারও একটি নির্দেশনা রয়েছে। জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সফল হওয়া দুষ্কর। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় এডিস মশা হয় মানুষের বাড়ি এবং বাড়ির আঙিনায় বিভিন্ন পাত্রে জমে থাকা পানিতে। তাই এ প্রক্রিয়ায় জনগণকে সম্পৃক্ত করার জন্য নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে সামাজিক সংগঠনগুলোকে উদ্বুদ্ধ করে এ কাজ করানো যেতে পারে। জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করে বাংলাদেশে ইপিআই টিকাদান কর্মসূচি এবং জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি দারুণভাবে সফল হয়েছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণেও জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারলে সফলতা মিলবে।

সর্বশেষ খবর