বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা
দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা

নৌকার আদলে ফুটওভার ব্রিজ

হাসান ইমন

নৌকার আদলে ফুটওভার ব্রিজ

দূর থেকে দেখতে মনে হয় ঝুলন্ত নৌকা। কাছে গেলে ভুল ভাঙে। নৌকা নয়, পথচারী পারাপারের ফুটওভার ব্রিজ। ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের প্রবেশমুখ রাজধানীর জুরাইনে নৌকার আদলে তৈরি করা হয়েছে এ ফুটওভার ব্রিজ। ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ফুটওভার ব্রিজটি দৃষ্টিনন্দন হওয়ায় খুশি পথচারী ও এলাকাবাসী।

সড়ক ও জনপথ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের একটি অংশ সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ) বাস্তবায়ন করেছে। এ এক্সপ্রেসওয়ে হেঁটে পারাপারের সুযোগ নেই। তাই ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ পথে ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২টি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে জুরাইন ফুটওভার ব্রিজটি দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে। অন্য ১১টি সাধারণ ফুটওভার ব্রিজ। জুরাইনের নৌকা আকৃতির ফুট ওভারব্রিজটি ‘আইকনিক’। এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের সওজ অংশের পরিচালক সবুজ উদ্দিন খান জানান, নৌকার আদলে নির্মাণাধীন ফুটওভার ব্রিজের আগে থাকবে নান্দনিক গোলচত্বর। এর মাঝখানে স্থাপন করা হবে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য। চীনে নির্মাণ করা হচ্ছে ভাস্কর্যটি।

সরেজমিন দেখা যায়, যাত্রাবাড়ী উড়াল সড়ক থেকে নেমে ধোলাইপাড় চৌরাস্তা পার হয়ে সামনে (পোস্তগোলা) গেলে চোখে পড়বে নৌকার আদলে তৈরি হওয়া ফুটওভার ব্রিজটি। ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের দুই পাশ থেকে ওঠানামার জন্য সিঁড়ি আছে। এ ব্রিজটি অনেকটা ইংরেজি (ইউ) অক্ষরের মতো। এ অক্ষরের ওপরে নৌকার আদলে তৈরি করা হয়েছে। দুই পাশে পথচারী চলাচলের মাঝখানে আরেকটি ছোট নৌকা তৈরি করা হয়েছে। ফুটওভার ব্রিজে কথা হয় পথচারী শাকিল আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, রাস্তার পাশে একটি রেস্তোরাঁয় চাকরি করি। প্রতিদিনই এ ফুটওভার ব্রিজ পার হয়ে কর্মস্থলে যেতে হয়। যখনই একটু অবসর পাই তখনই এখানে এসে বসে থাকি। খুব ভালো লাগে। আর এ ব্রিজটা নৌকার আদলে তৈরি হওয়ায় আরও ভালো লাগে। প্রতিদিন বিকালে অনেক মানুষ এখানে বেড়াতে আসেন। বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকানি এখানে বেচাবিক্রি করেন। সব মিলিয়ে এই ফুটওভার ব্রিজটা খুব সুন্দর। তবে ফুটওভার ব্রিজে বাতি থাকলেও অনেকগুলো জ্বলে না। দোকানি ও ভাসমান মানুষ থাকায় তারা ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখে। উল্লেখ্য, ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটির কাজ ২০২০ সালে শেষ হয়েছে। প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রাজবাড়ীর ইন্টারসেকশন থেকে মাওয়ায় পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটার। প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত এ চার লেনের এক্সপ্রেসওয়ের দুপাশে রয়েছে সার্ভিস লেন, যা সাড়ে পাঁচ থেকে সাড়ে সাত মিটার পর্যন্ত প্রশস্ত।

এ লেনে চলবে ধীরগতির যানবাহন। ফুটওভার ব্রিজ ছাড়াও সড়ক পারাপারে রয়েছে ছয়টি আন্ডারপাস, যাতে গাড়ির দিক পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে।

সর্বশেষ খবর