ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী বলেছেন, দেশে কালো টাকা ও পেশিশক্তির প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। প্রতিহিংসার পথ পরিহার করে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সব রাজনৈতিক সংকটের সমাধান চাই। বিদেশি হস্তক্ষেপ চাই না। এটা কখনোই কল্যাণ বয়ে আনবে না।
বুধবার বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। ইসলামী দলগুলোর কার্যক্রম প্রসঙ্গে আবুল হাসানাত আমিনী বলেন, ইসলামী দলগুলো নির্বাচন সামনে রেখে সংগঠন গোছানোর কাজ করছে। একই সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। বিভিন্ন ইস্যু ও দাবি আদায়ে রাজপথে মিছিল-সমাবেশ করছে। ইসলামী ঐক্যজোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইসলামী ঐক্যজোট স্বতন্ত্র পথে চলছে। সরকারি দল বা প্রধান বিরোধী পক্ষ বিএনপি কারও সঙ্গে কোনো জোটে নেই। ১৬ জুলাই দলের জাতীয় কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কমিটিতে তরুণদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত। বর্তমানে ঢাকা মহানগরীর প্রতিটি থানায় কমিটি গঠন চলছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা নিয়ে তিনি বলেন, ইসলামী ঐক্যজোট নির্বাচনমুখী দল। ১৯৯১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিন টার্মে এ দেশের হক্কানি আলেমদের মধ্যে যারা সংসদে গেছেন, ইসলামী ঐক্যজোটের ব্যানারেই সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। আগামী নির্বাচন নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। সংকট নিরসন, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হলে দলের মজলিসে শুরা তখন করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে হাসানাত আমিনী বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, রাজনৈতিক সংকট, খাদ্য ও জ্বালানি সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ভূমিকম্প, বন্যা, খরাসহ দুর্যোগ বাড়ছে। প্রবল বর্ষণে চট্টগ্রামে ভয়াবহ বন্যায় অনেক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। বিদ্যুৎ, গ্যাস, সার ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষের ওপর চাপ বিপুল বেড়েছে। আলেমদের মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০১১ ও ২০১৩ সালে এবং পরে হওয়া বিচ্ছিন্ন মামলায় এখনো তারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অবিলম্বে ঐক্যজোট নেতা-কর্মীসহ আলেমদের হয়রানি, মামলা প্রত্যাহার এবং বন্দি আলেমদের মুক্তি দিতে হবে।
