শুক্রবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

দুদকের ওয়েবসাইট থেকে তথ্য নিয়ে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত দুর্নীতির অভিযোগ বা মামলার তালিকা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে অভিযুক্তদের ভয় দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিত একটি চক্র। অভিযুক্ত ব্যক্তিরাও অভিযোগ নিষ্পত্তির আশ্বাসে চক্রটির চাহিদা মোতাবেক টাকা দিত। দুদক কর্মকর্তার পরিচয়ে এমন কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে এই কুচক্রী গ্রুপের চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন যুগ্ম-কমিশনার (সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ও ডিবি-উত্তর) খোন্দকার নুরুন্নবী। তিনি জানান, দুদকের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এভাবে প্রতারণা করে আসছিল শফিকুরের এই চক্রটি। বিষয়টি দুদকের নজরে আসার পর সংস্থাটির উপ-পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম গত ১৩ আগস্ট ডিএমপির রমনা থানায় একটি মামলা করেন। পরদিন যাত্রাবাড়ী, মুগদা ও বিমানবন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চারজনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগ। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত সাতটি মোবাইল ফোন, ১০টি সিম, বাংলা টিভি ৭১-এর কর্ডলেস মাউথ পিস, পত্রিকা, মানবাধিকার কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাতটি ভুয়া আইডি কার্ড, দুদক থেকে বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানের ১২টি প্রতিবেদন এবং বিভিন্ন ব্যক্তির ফোন নম্বর লেখা তিনটি নোটবুক জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতাররা প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে। ওই চারজনকে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে এনেছে ডিবি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা লাখ লাখ টাকা ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করেছে বলে স্বীকার করেছে। এভাবে তারা এক বছরে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। মাদকাসক্ত এবং অসামাজিক কাজে অভ্যস্ত আসামিরা মুহূর্তেই টাকা খরচ করে নতুন প্রতারণায় হাত দিত। গ্রেফতার শফিকুর রহমান রডমিস্ত্রির কাজ করত এবং সোহাগ পাটোয়ারী করত ডিজে পার্টি ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ। একসময় তারা দুজন আবদুল হাই ও আজমির হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে এই প্রতারক চক্র গড়ে তোলেন। এখন পর্যন্ত এ চক্রের সঙ্গে দুদকের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলেও জানান যুগ্ম-কমিশনার নুরুন্নবী।

সর্বশেষ খবর