শিরোনাম
রবিবার, ২০ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

শিল্পকলায় হেলেন কেলার

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

শিল্পকলায় হেলেন কেলার

স্বপ্নদল আয়োজিত নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের দুই দিনের জন্মোৎসবের শেষ দিনে গতকাল শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয়েছে একক নাটক ‘হেলেন কেলার’। বিশ্বের বিস্ময় মহীয়সী নারী হেলেন কেলারের জীবন-কর্ম-স্বপ্ন-সংগ্রাম-দর্শন অবলম্বনে এই নাটকটি রচনা করেন অপূর্ব কুমার কুণ্ডু ও এর নির্দেশনায় ছিলেন জাহিদ রিপন।

নাটকের কাহিনি অনুযায়ী, অন্ধ ও বধির নারী হওয়া সত্ত্বেও প্রবল আত্মবিশ্বাস আর শিক্ষিকা অ্যান সালিভানের অতি মানবিক প্রেরণায় হেলেন কেলার নানা ব্যক্তিগত প্রতিবন্ধকতা জয় করে জীবন সংগ্রামে ঘুরে দাঁড়ান। নাটকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, চার্লি চ্যাপলিন-মার্ক টোয়েন-কেনেডি-আইনস্টাইনসহ বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের সান্নিধ্যে তার জীবনে সমৃদ্ধির কথা উঠে আসে। এক্ষেত্রে তার শিক্ষিকা তাকে সহযোগিতা করেন। পাশাপাশি উঠে আসে নারী জাগরণ, মানবতাবাদের পক্ষ এবং যুদ্ধ-ধ্বংস-সহিংসতা-বর্ণবাদ তথা আণবিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে তার স্পষ্ট অবস্থানের কথা। নাটকে স্থান পায় হেলেন কেলারের ব্যক্তিজীবনের নানা পূর্ণতা-অপূর্ণতার প্রসঙ্গও। নানা প্রতিকূলতা ও ঘাত-প্রতিঘাতের বিরুদ্ধে লড়াই করে হেলেন মানবকল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করেন। এই বিষয়গুলোও উঠে এসেছে এই মনোড্রামায়। এই একক নাটকটিতে অভিনয় করেন স্বপ্নদলের নিয়মিত নাট্যকর্মী জুয়েনা শবনম।

জহির রায়হানের জন্মবার্ষিকীতে সেমিনার ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী : শহীদ বুদ্ধিজীবী, সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা জহির রায়হানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সেমিনার ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী করেছে জহির রায়হান ফিল্ম ইনস্টিটিউট। গতকাল লালমাটিয়ার গ্রাফিকস আর্ট ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান হয়। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কলামিস্ট ও সংগঠক রুস্তম আলী খোকন। এতে অতিথি ছিলেন জহির রায়হান পুত্র অনল রায়হান। তিনি বলেন, যে সময়ে আমরা বাবাকে হারিয়েছি সে সময় তার হারাবার কথা নয়। পুত্র হিসেবে বাবাকে আমি খুব কমই দেখেছি। তিনি এমন একজন মানুষ যিনি দেশ বিভাগের পর থেকে, শিল্প, সাহিত্য, রাজনীতি, সংস্কৃতির চর্চা অন্যতম হয়ে উঠতে পেরেছিলেন। তারপর মুক্তিযুদ্ধে তার অংশগ্রহণ এবং অবদান; যুদ্ধ শেষে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেড়টা মাস তার অংশগ্রহণ এবং অবদান, সব মিলিয়ে তিনি ইতিহাসের অন্যতম চরিত্র হয়ে গেছেন। গ্রাফিক আর্টস ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ নীহার রঞ্জন দাস বলেন, আমরা এই মহান গল্পকার, উপন্যাসিক ও নির্মাতার কাছ থেকে জীবন থেকে নেওয়ার মতো অসাধারণ চলচ্চিত্র পেয়েছি। সেই সময়টিতে এ চলচ্চিত্রটি নিষিদ্ধ করেছিল পাকিস্তান সরকার। প্রতীকীভাবে তিনি পাকিস্তান রাষ্ট্রব্যবস্থার সৈরশাসনের বিরুদ্ধে বাঙালির মনোজগতে নাড়া দিয়েছিলেন। জহির রায়হান ফিল্ম ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে আমরা স্বল্প মেয়াদি কোর্স চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। আমার মনে হয় জহির রায়হান ফিল্ম ইনস্টিটিউট একদিন দেশের একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। চলচ্চিত্র নির্মাতা ও শিক্ষক প্রদীপ ঘোষ বলেন, জহির রায়হান আমাদের কাছে একটি চেতনার নাম। জহির রায়হান ফিল্ম ইনস্টিটিউট সেই চেতনাকে অগ্রসর করার কাজ করে যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করি স্বল্পমেয়াদি কোর্স সমূহে জহির রায়হানের রাজনৈতিক ভাবনার প্রতিফলিত সাহিত্য ও চলচ্চিত্রকে অনুধাবন করার কাজটি শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে। নাট্যজন শংকর সাওজাল বলেন, জহির রায়হানসহ দেশের সূর্যসন্তানদের যদি নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দেওয়া না যায় তাহলে উন্নত সংস্কৃতির বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হবে না। আমি সব সময়তে চেষ্টা করি এসব আয়োজনে নিজেকে যুক্ত করতে। আয়োজনের সঞ্চালনা করেন, জহির রায়হান ফিল্ম ইনস্টিটিউট এর নির্বাহী পরিচালক শারমিনা চৌধুরী। অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয় সালেহ সোবহান অনীম নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘লাইট ক্যামেরা একশন’।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর