সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা
আবেদন খারিজ

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা চলতে বাধা নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ প্রতিষ্ঠানটির চার পরিচালকের নামে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় অভিযোগ গঠন বাতিল বিষয়ে করা আবেদন খারিজ করেছেন আপিল বিভাগও। গতকাল প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর  নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ফলে শ্রম আদালতে এ মামলার বিচার চলতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী। আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। পরে খুরশীদ আলম খান জানান, আপিল বিভাগেও ড. ইউনূসের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় মামলাটির বিচার চলতে আর কোনো বাধা থাকল না। চলতি বছরের ৬ জুন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চারজনের নামে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা। পরে ১৯ মে শ্রম আদালতের আদেশটি বাতিল চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনূস। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ ২৩ জুলাই শ্রম আদালতে মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। রুলের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ২৫ জুলাই চেম্বার আদালত স্থগিতাদেশ না দিয়ে ৩ আগস্ট পর্যন্ত মামলাটিতে স্থিতাবস্থা দেন। একই সঙ্গে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ৩ আগস্ট মামলাটির রুল শুনানির জন্য হাই কোর্টে নতুন বেঞ্চ গঠন করে দেন আপিল বিভাগ। দুই সপ্তাহের মধ্যে রুল নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আপিল বিভাগ। সে অনুযায়ী শুনানি শেষে ৮ আগস্ট রায় দেওয়া হয়। রায়ে ১৯ মে শ্রম আদালতের আদেশটি বাতিল চেয়ে হাই কোর্টে করা আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর ড. ইউনূসসহ চারজন আপিল বিভাগে আবেদন করেন। যেটি গতকাল খারিজ হয়ে যায়। ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের নামে এ মামলা করেন। মামলায় শ্রমিককল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। মামলার অন্য তিন আসামি হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

সর্বশেষ খবর