সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স চায় ৫২ প্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে দেশি-বিদেশি ৫২টি প্রতিষ্ঠান। আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংক, এমএফএস, রাইড শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি, তথ্য প্রযুক্তি সেবাদানকারী, ওষুধ কোম্পানির মতো দেশি ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান। এদের মধ্যে কেউ এককভাবে, আবার অনেকেই করেছে যৌথ আবেদন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, নির্ধারিত সময়ে ৫২টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। নীতিমালার শর্ত মেনে যারা আবেদন করেছেন এবং যেগুলো যোগ্য হবে তাদের লাইসেন্সের জন্য এলওআই (লেটার অব ইন্টেন্ট) দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্ষদ। অফেরতযোগ্য ৫ লাখ টাকা ফি দিয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতেই ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য আবেদন করতে হয়েছে। এই ব্যাংকের লাইসেন্সের জন্য লাগবে ১২৫ কোটি টাকা, পরিচালক হতে লাগবে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা। এর আগে গত ১৪ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ডিজিটাল ব্যাংক চালুর অনুমোদন দেয়। ১৫ জুন নীতিমালা জারি করে। ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য অনলাইনে আবেদন জমা দিতে গত ২১ জুন একটি ওয়েব পোর্টাল চালু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ১ আগস্টের মধ্যে আবেদন করতে বলা হলেও নির্ধারিত সময়ে কেউ আবেদন করেনি। পরবর্তীতে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত আবেদনের সময় বাড়ানো হয়। জানা গেছে, দেশের বেসরকারি খাতের ১০ ব্যাংক মিলে ডিজিটাল ব্যাংক করার উদ্যোগ নিয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডিজি ১০ ব্যাংক পিএলসি’। একসঙ্গে ১০ ব্যাংক মিলে এ ধরনের উদ্যোগ দেশে এখন পর্যন্ত এটিই প্রথম। ব্যাংকগুলো হচ্ছে- সিটি ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি), ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল), ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড (ডিবিবিএল), ট্রাস্ট ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক (এনসিসিবি), মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও মিডল্যান্ড ব্যাংক। এসব ব্যাংকের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকটি ব্যাংক যুক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এর বাইরে রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংক মিলেও ডিজিটাল ব্যাংক করতে চায়। এগুলো হলো- সোনালী, অগ্রণী, জনতা ও রূপালী। এ ছাড়াও ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য আবেদন করেছে মোবাইলের আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান নগদ, বিকাশ ও মোবাইল অপারেটর কোম্পানি বাংলালিংক, রাইড শেয়ারিং পাঠাও।

সর্বশেষ খবর