সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিদেশ থেকেও অংশ নেওয়া যাবে বিচারকাজে

সাক্ষী-হাজিরা সবই হবে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

আদালতে উপস্থিত না হয়েও দেশে-বিদেশের যে কোনো স্থান থেকে অংশ নেওয়া যাবে মামলার বিচার কাজে। অডিও বা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এ বিচারকাজ পরিচালিত হবে। অডিও-ভিডিও বা অন্য যে কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে বিচারপ্রার্থী, আইনজীবী ও সাক্ষীদের ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণ শুনানিসহ মামলার যে কোনো পর্যায়ে এ পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে। আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার আইন-২০২০ এর ৫ ধারার ক্ষমতাবলে গতকাল প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নির্দেশে এ প্র্যাকটিস নির্দেশনা জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এ নির্দেশনা অনুসরণ করে নিম্নআদালতে সাক্ষী-হাজিরা সবই ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে করা যাবে বলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট সূত্র।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনায় দূরবর্তীপ্রান্ত বলতে দেশের বাইরে, কারাগার, হাসপাতাল, সেইফ হোম, প্রত্যয়িত প্রতিষ্ঠান, শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র, নিরাপত্তামূলক হেফাজত, সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিস, ফরেনসিক ল্যাবরেটরি ছাড়াও অন্য যে কোনো স্থানকে বোঝানো হয়েছে। উল্লিখিত প্রতিষ্ঠান থেকে বিচার কার্যক্রমে যুক্ত হতে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং অন্য যে কোনো স্থানে সংশ্লিষ্ট আদালতের একজন মনোনিত ব্যক্তি সমন্বয়কারী হিসেবে থাকবেন। একইভাবে আদালতপ্রান্তেও থাকবেন একজন সমন্বয়কারী।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, এ ধরনের বিচারকাজে কনফারেন্সিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যক্তি নির্ধারিত সময়ের কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে দূরবর্তী প্রান্তে প্রস্তুত থাকতে হবে। কোনো অননুমোদিত রেকর্ডিং ডিভাইস ব্যবহার করা যাবে না।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অডিও-ভিডিও কনফারেন্স চলাকালীন কোনো অননুমোদিত ব্যক্তি কনফারেন্স রুমে প্রবেশ করতে পারবে না। যে ব্যক্তিকে পরীক্ষা করা হচ্ছে তাকে কোনোভাবে প্ররোচিত করা, টিউটর করা, বাধ্য করা যাবে না। পাশাপাশি যে ব্যক্তিকে পরীক্ষা করা হচ্ছে তাকে কনফারেন্স চলাকালীন সংশ্লিষ্ট আদালতের অনুমতি ছাড়া কোনো নথি, স্ক্রিপ্ট বা ডিভাইস দেখানো যাবে না। মামলা সংশ্লিষ্ট পক্ষ, সাক্ষী, অভিযুক্ত ব্যক্তি, আইনজীবী, বিশেষজ্ঞ এর আবেদনক্রমে বা আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে যে কোনো মামলার যে কোনো পর্যায়ের কার্যক্রম অডিও-ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের নির্দেশ প্রদান করতে পারবেন।

নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো মামলায় অডিও-ভিডিও কনফারেন্সিং আবশ্যিক কি না, এ ধরনের আবেদন পাওয়ার পর তা ঠিক করবেন আদালত। আবেদন মঞ্জুর করা হলে আদালত অডিও-ভিডিও কনফারেন্সের সময়সূচি নির্ধারণ করবেন। অডিও-ভিডিও কনফারেন্সের আবেদনে অডিও-ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপস্থিতি শুনানি অথবা সাক্ষ্য গ্রহণের সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের শনাক্তকরণের সুবিধার্থে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, টেলিফোন নম্বর, ই-মেইল আইডি সংক্রান্ত তথ্য উল্লেখ করতে হবে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, জেলহাজতে আটক অভিযুক্ত বা সাক্ষীর ক্ষেত্রে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। অডিও-ভিডিও কনফারেন্সিং কার্যক্রম শেষ হলে, আদালত আদেশনামায় কনফারেন্সিংয়ের সময় ও স্থায়ীত্বকাল উল্লেখ করবেন এবং কনফারেন্সিং এ ব্যবহৃত সফটওয়্যার/প্ল্যাটফরমের নাম উল্লেখ করবেন। এ ছাড়া আদালত কনফারেন্সের সময় অডিও, ভিডিও এবং সংযোগের বিষয়ে তার সন্তুষ্টি আদেশে উল্লেখ করবেন।

সর্বশেষ খবর