বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ

সীমান্ত পর্যন্ত চালানো হলো গ্যাংকার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

সীমান্ত পর্যন্ত চালানো হলো গ্যাংকার

আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের সীমান্ত পর্যন্ত চালানো হয়েছে ‘গ্যাংকার’। বিশেষ আকৃতিতে নির্মিত ইঞ্জিন ‘গ্যাংকার’ নামে পরিচিত। গতকাল দুপুর সোয়া ১২টায় আখাউড়া গঙ্গাসাগর স্টেশন থেকে একটি হপার (পাথরবাহী বগি) নিয়ে রওনা হয়ে সাড়ে ১২টার দিকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের জিরো পয়েন্টে গিয়ে পৌঁছে। এ সময় গ্যাংকারে করে প্রকল্প পরিচালকসহ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও রেলওয়ের কর্মকর্তারা কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন। মূলত পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের প্রস্তুতি হিসেবে গ্যাংকার চালানো হয়েছে। এ সময় টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কান্ট্রি হেড (বাংলাদেশ) শরদ শর্মা বলেন, ‘রেলপথ নির্মাণকাজ শেষ হয়ে গেছে। এর ওপর গাড়ি চলা শুরু হয়েছে। আমাদের কাজ ছিল রেলপথ নির্মাণ করা, আমরা করেছি। স্টেশন বিল্ডিংসহ অন্যান্য কাজও প্রায় শেষ। যত দ্রুত সম্ভব মালবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে। দুই দেশের সরকার এর উদ্বোধন করবে।’ প্রকল্প পরিচালক মো. আবু জাফর মিয়া বলেন, ‘আমরা আজ কাজের অগ্রগতি দেখতে গ্যাংকার দিয়ে সীমান্ত পর্যন্ত এসেছি। শতকরা ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়ে গেছে। বিল্ডিংয়ের কিছু ফিনিশিং বাকি। আশা করি এ মাসের মধ্যেই ইঞ্জিন দিয়ে ট্রায়াল রান করতে পারব; যাতে পরে ট্রেনের ট্রায়াল রান করা যায়।’ তিনি বলেন, ‘মূলত ট্র্যাক কন্ডিশন দেখার জন্য গ্যাংকার নিয়ে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত এসেছি- ট্র্যাক ঠিক আছে কি না, অ্যালাইনমেন্ট ঠিক আছে কি না।’ আজ রেলভবনে একটি সভা হবে। সভায় উদ্বোধনের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।

প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের প্রস্তুতি হিসেবে গ্যাংকার চালানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার গঙ্গাসগর থেকে ভারতের আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। সাড়ে ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের বাংলাদেশ অংশে পড়েছে সাড়ে ৬ কিলোমিটার। বাংলাদেশের অংশের নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২৪১ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের রেলওয়ের সঙ্গে এ রেলপথ সংযুক্ত হবে। এতে দুই দেশের বাণিজ্য ও সংযোগ বৃদ্ধি পাবে বলে বলা হচ্ছে। আগামী সেপ্টেম্বরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর এ রেলপথ উদ্বোধনের কথা রয়েছে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়ার সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান আহমেদ তারেক, আইডব্লিউ মিঠুন সরকার প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর