অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম বলেছেন, টাকা পাচার, লুটপাট এখন ব্যাংক খাতের স্বাভাবিক পরিস্থিতি। দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংক খাতে এ দুরবস্থার জন্য সরকারের অদূরদর্শী নীতি দায়ী। অর্থ পাচার আমাদের ব্যাংক খাতে দীর্ঘদিনের একটি বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত। নানা ধরনের বক্তব্য আমরা দেখতে পেয়েছি। কিন্তু কার্যকর কোনো উদ্যোগ অর্থ পাচার ঠেকানোর জন্য দেখা যায়নি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে অর্থ পাচার অস্বীকার করে। ব্যাংক খাতকে ধসিয়ে দেওয়ার জন্য এ অস্বীকার প্রবণতা বহুলাংশে দায়ী। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে মইনুল ইসলাম বলেন, ব্যাংক খাত এখন ভয়াবহ রকমের লুটপাটের খাতে পরিণত হয়েছে। দেশের অর্থনীতিতে এতগুলো ব্যাংকের কোনো প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু সরকার একের পর এক ব্যাংকের অনুমোদন দিয়েছে। কার স্বার্থে এগুলো দেওয়া হলো। যারা ব্যাংকের অনুমোদন পেল তারা ব্যাংকিং না করে লুটপাট করেছে। এসব থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের এখনই সঠিক পরিকল্পনা নিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক কঠোরভাবে যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে ভবিষ্যতে আরও খারাপের দিকে যাবে। সরকারের উচিত বিষয়টি উপলব্ধি করা। সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া। যারা ব্যাংক লুটপাট করে অর্থ বিদেশে পাচার করেছে তাদের আইনিভাবে শাস্তি দিতে হবে। ঢালাওভাবে খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করে ব্যাংক খাতকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করা মানে হচ্ছে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করা। এভাবে ব্যাংক খাত চলতে পারে না। ব্যাংক খাতে আস্থা, সুশাসন ফেরানোর জন্য নিয়ম, নীতিমালা কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে।