বুধবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

দোকানে আড্ডার সময় কুপিয়ে হত্যা যুবলীগ কর্মীকে

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় আসাদুজ্জামান আসাদ (৩২) নামে এক যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় নাহিদ নামের আরও এক যুবক আহত হন। নিহত আসাদ উপজেলার তারাটী পূর্বপাড়া গ্রামের শামসুল হকের ছেলে। তিনি মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই আকন্দ বলয়ে থেকে যুবলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। সোমবার রাত পৌনে ৯টার দিকে পৌর শহরের আটানী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাতে শহরের আটানী বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসে আসাদ, নাহিদসহ কয়েকজন মিলে একসঙ্গে বসে চা পান করছিলেন। রাত পৌনে ৯টার দিকে ১৫-২০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের চারদিক থেকে ঘিরে আসাদকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হাত-পা থেঁতলে দেয়। পরে তাকে ড্রেনের ওপর ফেলে রেখে চলে যায়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার সময় আসাদের সঙ্গে থাকা নাহিদ নামের অপর এক যুবক আহত হন। নিহতের চাচাতো ভাই কাজী আলমগীরের অভিযোগ, দুই আড়াই মাস ধরেই সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বাবু এমপি এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই আকন্দের রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। ঘটনার দিন সোমবার রাতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী খালিদ বাবু, মুক্তাগাছা পৌরসভার মেয়র বিল্লাল হোসেন সরকার ও জেলা পরিষদের সদস্য মাহবুবুল আলম মনির নির্দেশে তাদের পালিত সন্ত্রাসীরা আমার ভাই আসাদকে কুপিয়ে হত্যা করে। ময়নাতদন্তের পর আমরা সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাব। এ প্রসঙ্গে জানতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী খালিদ বাবু এমপির মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি বলেন, ‘আমি একটা অনুষ্ঠানের মঞ্চে। সন্ধ্যার পর কথা বলব।’ তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি জানান, ‘কোনো হত্যাকাণ্ড কাম্য নয়।

যদি কেউ আমার কথা বলে থাকে তাহলে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এ হত্যায় জড়িত প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনা হবে।’ এ ঘটনায় আইনিব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন জানিয়ে মুক্তাগাছা থানার ওসি আবদুল মজিদ জানান, ইতোমধ্যে রাজিব ও শহিদ নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে। হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনা হবে।

সর্বশেষ খবর